ঢাকা: চাকরি জীবন শেষ করার পরেও বিগত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ নানা কাজে ২৬ বছর কর্মক্ষম রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ সচিব হিসেবে চাকরি জীবন শেষ করেন তিনি।
অনলাইন বেতন নির্ধারণ এবং পেনশন নির্ধারনের ডিজিটাল পদ্ধতির উদ্বোধন করে তা চূড়ান্ত করেছেন নিজ হাতে। তারপরে তার অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে তার কথায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিজিটাল এই পদ্ধতির উদ্বোধনের পর অর্থমন্ত্রী তার জীবনের বেশ কিছু অংশ তুলে ধরেন। চাকরি জীবনের পর তার কর্মক্ষম থাকার বিষয়টিকে জোর দেন অর্থমন্ত্রী। দীর্ঘ ২৫ বছর চাকরি করার পর ১৯৮২ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যা তিনি। তার পর কেটে যাচ্ছে আরো ৩৩ বছর। এই ৩৩ বছরের শেষ ২৬ বছর আবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আত্মনিয়োগ করেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চাকরি থেকে রিটায়ার করার পরে দীর্ঘ ২৬ বছর কর্মক্ষম, এটি কৃতিত্ব নয়, সৌভাগ্য।
আলাপকালে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চাকরির সময় আমি পেনশন রিমডেল করার পদক্ষেপ নেই। আমি ২৫ বছর চাকরি করে পেনশনে যাই। তারপর মন্ত্রী হয়ে উন্নত করার সুযোগ পাই। এখন আমার ডিজিটাল এই পদ্ধতি হল আমার হাত দিয়ে।
আমার পেনশন জনতা ব্যাংকে। আমাকে বছরে একবার ব্যাংকে মুখ দেখাতে যেতে হয়, বেঁচে আছি কিনা। আমি বছরে এক বার যাই অথবা ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে আমার কথা হয়।
আমি ৮২ সালের ২৭ মার্চ রিটায়ার করি। তারপর মন্ত্রী হই। শুকরিয়া আদায় করছি আল্লার কাছে। পেনশনে যাওয়ার পর ২৬ বছর কর্মক্ষম আছি। তবে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। উঠতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়। কখনও কখনও কারো সহযোগিতা নিতে হয়। তারপরেও আমি ৫৬ সাল থেকে মানুষের সেবা করছি। এটি আমার কৃতিত্বের বিষয় নয়, সৌভাগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএমএ/আরআই
** অনলাইনে বেতন-পেনশন নির্ধারণ পদ্ধতির উদ্বোধন