ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনলাইনেই ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
অনলাইনেই ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন সেবা চালু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। প্রাথমিকভাবে রাজউকের ৫ নম্বর জোন এ সেবার আওতায় থাকবে।


 
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাজউক মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এ সেবার উদ্বোধন করেন।
 
অনুষ্ঠানস্থলে ধানমণ্ডির একটি মসজিদের নকশা অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় রাজউকের এ নতুন ডিজিটাল সেবার।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন
চালুর মধ্য দিয়ে সেবা প্রদানের নতুন যুগে প্রবেশ করলো রাজউক।
 
এখন ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন করতে আর হয়রানি হবে না। রাজউকে না এসেই অনলাইনে সেবা পাওয়া যাবে- বলেন মন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, রাজধানীবাসীকে রাস্তায় নেমে এক ঘণ্টার রাস্তা তিন ঘণ্টায় যেতে হয়। এর একটি অন্যতম কারণ রাজউক থেকে বাসা-বাড়ির জন্য অনুমোদন নিয়ে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজউককে এ ধরনের অবৈধ কাজ বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে। ওপর থেকে এ বিষয়ে নির্দেশ আছে।
 
মন্ত্রী জানান, রাজউকের প্রতিটি প্রকল্পকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে পূর্বাচলে ১৩০তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবন নির্মিত হয়ে গেলে পূর্বাচলের চেহারাই পাল্টে যাবে।  
RAJUK_01
রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রতিনিধি মিয়া রহমত আলী প্রমুখ।
 
সভাপতির বক্তব্যে রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমে অনলাইন সেবা ৫ নম্বর জোনে চালু করা হচ্ছে। শিগগিরই এ সেবার আওতা বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে রাজধানী ঢাকার সব অঞ্চলের জন্য অনলাইন সেবা চালু করা হবে।
 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব বলেন, রাজউকে না এসেই মানুষ যাতে সেবা পেতে পারেন, সেজন্য অনলাইন সেবা চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য পূরণে সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা একটি এ সেবার অন্যতম উদ্দেশ্য।
 
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রতিনিধি মিয়া রহমত আলী বলেন, এ সেবা একদিকে সক্ষমতা বাড়াবে, অন্যদিকে কাজের স্বচ্ছতা বাড়বে। এজন্য রাজউকে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার দিকেও নজর দিতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এএসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।