ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলুর মোকাম মহাস্থান

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
আলুর মোকাম মহাস্থান ছবি: আরিফ জাহান/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ার মহাস্থান থেকে ফিরে: মহাস্থান বাজারের সিংহভাগ জায়গা দখল করে থাকে বিভিন্ন জাতের নতুন আলু। স্তুপ আকারে ও বস্তায় ভরে এসব আলু রাখা হয়।

এটি জেলার অন্যতম আলুর মোকাম।
 
আর এই মোকামে প্রতিদিন প্রায় ২কোটি টাকার মত আলু কেনাবেচা হয়। ব্যাপারীদের মাধ্যমে এসব আলু ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে চলে যায়। এরমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, জয়দেবপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মাওনা, বনপাড়া অন্যতম।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহাস্থান বাজারে গিয়ে আলুর আড়‍ৎদার ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ বস্তাভর্তি আলু স্তুপের ওপর ঢালছেন। কেউ আলুর সেই স্তুপ ঠিক করছেন। অনেকেই আলু থেকে মাটিসহ অন্যান্য ময়লা পরিস্কার করতে ড্রামের পানিতে ধোঁয়ার কাজ করছেন।
 
কেউবা আলু বস্তাবন্দিতে ব্যস্ত। আবার অনেকেই বস্তাবন্দি  আলু ভটভটিতে উঠাচ্ছেন। নারীরা বস্তার মুখ সেলাই করে বেঁধে ফেলছেন। কেউ ভাড়ে করে নিতে আলু ডালায় ভরেছেন। শেষমেষ এসব আলু বস্তায় ভরে ট্রাকে লোড করে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। সবমিলে মহাস্থান বাজারে আলু নিয়ে যেন কর্মযজ্ঞ চলছে।
 
আজিজার রহমান, আব্দুল বারী, বাবু, শাহজাহান আলীসহ একাধিক আলুর আড়‍ৎদার বাংলানিউজকে জানান, বেশ আগ থেকে নতুন জাতের আলু এই বাজারে বেচাকেনা চলছে। এই বাজারে মোটামোটি প্রায় সব জাতের আলুই আমদানি হয়ে থাকে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা অনুযায়ী জাত ভিত্তিক আলু ক্রয় করা হয়। এটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এলাকার আড়ৎদার বা ব্যাপারীদের অর্ডারের ওপর।
 
বর্তমানে মহাস্থান বাজারে অর্ধশতাধিক বড় মাপের আড়ৎদার ও শতাধিক ব্যাপারী আলু বেচাকেনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এই মোকাম থেকে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক ট্রাক আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২কোটি টাকা হবে বলে তারা জানান।
 
সাইদুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন, আব্দুল কাদেরসহ একাধিক ব্যাপারী বাংলানিউজকে জানান, মহাস্থান বাজারে পাকড়ি লাল আলু, তিন মিলি লাল আলু, মুটি আলু, কার্ডিনাল আলু, ক্যারেজ আলু, হলেন্ডার আলু, ডায়মন্ড আলু, ফেন্সি জাতের আলু বর্তমানে বেচাকেনা হচ্ছে।
 
এরমধ্যে প্রতিমণ পাকড়ি লাল আলু ৪০০-৪৫০টাকা, তিন মিলি লাল আলু ৪২০-৪৪০টাকা, মুটি আলু ৫৪০-৫৫০টাকা, কার্ডিনাল ও ক্যারেজ আলু ৪৫০-৪৮০টাকা, হলেন্ডার আলু ৩৪০-৩৫০টাকা, ডায়মন্ড ও ফেন্সি আলু ৪৫০-৫০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমবিএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।