ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মৌ চাষের নানা তথ্য মিলবে ‘মৌ মেলা’য়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
মৌ চাষের নানা তথ্য মিলবে ‘মৌ মেলা’য় ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: মৌ চাষের সম্ভাবনাকে আরও গতিশীল করতে ‘মৌ মেলা’ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া চাষি ও বাজারজাতকারীদের মধ্য একটি বন্ধনও তৈরি করবে এ মেলা।

মিলবে মৌ চাষের নানা তথ্যও।
 
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘মৌ মেলা ২০১৬’ উপলক্ষে খামারবাড়ি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মহাপরিচালকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা জানান।
 
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বরে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটায় এ মেলা উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
 
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনোয়ার ফারুক মধু চাষের সম্ভাবনা ও গুণাগুণ তুলে ধরে বলেন, মধু প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ বহুগুণে গুণান্বিত একটি উপাদান। বাংলাদেশে সাধারণত সুন্দরবনে প্রাকৃতিকভাবে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ ও বাজারজাত করে থাকেন। পাশাপাশি পেশাদার মৌচাষিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌসুমে মৌসুমে সরিষা, ধনিয়া, তিল, কালিজিরা, লিচু এসব ফসলের জমিতে বা বাগানে মৌবাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করেন।
 
তিনি জানান, বাংলাদেশে ৬ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়, ২০ হাজার হেক্টর জমিতে কালিজিরা, ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধনিয়া, ২০ হাজার হেক্টর জমিতে তিল এবং বিপুল পরিমাণ জমিতে লিচু উৎপাদিত হয়। যেখান থেকে মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে মৌমাছি দারুণভাবে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি  বিপুল পরিমাণ মধু আহরণে সহায়তা করে।
 
গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মধু রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৫০ মেট্রিক টন বলেও জানান এ ঊর্ধতন কর্মকর্তা।
 
তিনি মধু চাষে কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যে পরিমাণ সরিষা ফুল ফোটে তা থেকে মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সংস্থা বিসিকের আওতায় মৌচাষ সংক্রান্ত মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক একটি প্রকল্প চালু রয়েছে।
 
এ প্রকল্পের পক্ষ থেকে মৌচাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন মৌ বাক্স সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ডিএই ও বিসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে যৌথ কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মৌ মেলায় কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ বিসিক এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার মৌখামারি ও প্রাইভেট উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করবেন।
 
এতে ৩৪টি স্টল থাকবে। মেলার প্রতিপাদ্য- ‘মিলবে পুষ্টি বাড়বে ফলন, আয় বাড়াবে মৌ পালন’ বিষয়ে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএই মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন, মৌ চাষি কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ এবাদুল্লাহ আফজাল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
একে/এএসআর

** রাজধানীতে রোববার বসছে ‘মৌ মেলা’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।