ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘শ্রম আইনের বাস্তবায়ন বাংলাদেশে ভালো’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
‘শ্রম আইনের বাস্তবায়ন বাংলাদেশে ভালো’ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: আইএলও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিকরা পূর্ণ অধিকার ভোগ করছেন। এখানে শ্রম আইনের বাস্তবায়ন ভালোভাবে হচ্ছে’।


 
রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘে কেনিয়ার প্রতিনিধি মিনিস্টার কাউন্সিলর, লেবার এলিজাবেথ ফেইথ অনুকোর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
 
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকশীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বক্তব্য পাওয়া যায়।
 
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রতিনিধিদের বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রম আইনের বাস্তবায়ন অনেক ভালো। চীন তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। চীনে কোনো শ্রমিক ইউনিয়ন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি কারখানার ৭ শতাংশ এবং সরকারি কারখানার ৩৫ শতাংশে শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। ভিয়েতনামে শ্রমিক কারখানার নেতা থাকেন মন্ত্রী। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল। বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হয়েছে। সরকার শ্রমিকদের সে অধিকার নিশ্চিত করেছে’।
 
মন্ত্রী বলেন, শ্রমিক ও কারখানার মালিকদের নিয়ে সরকার শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়  শ্রম আইন সংশোধন করেছে। শ্রমিক ও কারখানার মালিকদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কারখানায় উৎপাদন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করা হয়েছে। ক্রুটিপূর্ণ কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারখানাগুলোর বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটিসহ শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে।
 
তিনি বলেন, ইপিজেডের শ্রমিকরা শ্রম আইনের বিধান মোতাবেক সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বাইরের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের চেয়েও তারা বেশি বেতন পাচ্ছেন। তারা  ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে মালিকপক্ষের সঙ্গে বার্গেনিং করছেন। সেখানে কোনো শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না।
 
‘ইউকে অ্যান্ড ইএস এইডের অর্থায়নে ডেমোক্রেটিক ইন্টারন্যাশনালের এক সার্ভে রিপোর্টে দেখা গেছে ইপিজেডের শ্রমিকরা কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্য থেকে তাদের শ্রমিক নেতা নির্বাচন করতে আগ্রহী। কারখানার কাজের পরিবেশ এবং বেতন কাঠামোয় তারা সন্তুষ্ট। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএসএ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন’- বলেন তোফায়েল আহমেদ।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটি কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিক একটি ইউনিয়ন গঠনের জন্য লিখিত আবেদন করলে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশে শ্রমিকরা পূর্ণ অধিকার ভোগ করছেন।
 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করেছে। কারখানা পরিদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ৩০টির স্থান নির্বাচন করা হয়েছে এবং ১০টির উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
 
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত হোসেন ওয়ারেছিসহ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
এসকেএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।