ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘রাজউকের কাজই হচ্ছে মানুষকে কষ্ট দেওয়া’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
‘রাজউকের কাজই হচ্ছে মানুষকে কষ্ট দেওয়া’

ঢাকা: ‘রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কাজই হচ্ছে মানুষকে কষ্ট দেওয়া। তাদের কোনো ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেই।

যদি থাকতো তাহলে ঢাকা শহরের মানুষের এতো কষ্ট হতো না। রাজউকের কাজকে কোনো মানুষ ভালো বলেছেন বলে আমার জানা নেই’।  

এসব কথা উল্লেখ করে ঢাকাবাসীর সমস্যা নিরসনে রাজউককে সঠিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 
শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা ক্লাবের  স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে, ‘জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি।
 
রাজউকের কড়া সমালোচনা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজউকের পরিধি আর কতোদূর যাবে, আমার জানা নেই। মনে হয়, আমার কুমিল্লা জেলা পর্যন্ত চলে যাবে। ঢাকা শহরের পরিধি অনেক বেড়েছে। রাজউককে আরও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। এই সরকারি সংস্থাটি আরও ১০০ বছরের জন্য আগাম চিন্তা করলে ঢাকা শহরের এতো সমস্যা হতো না। তাদের চিন্তা পেছনের দিকে। সামনের কোনো চিন্তা করে তারা কাজ করে বলে আমার জানা নেই’।
 
তিনি আরও বলেন, রাজউক বলতে পারবে না, আগামী ২০৫০ সালে ঢাকা শহরের মানুষ কতো হবে। তারা শুধু নানা ভুল ধরে মানুষকে কষ্ট দিতে পারে। তারা প্রতিনিয়তই আইন পরিবর্তন করে। এক সময় তারা বলেছে, গুলশানে ১৫তলার অধিক উচ্চ ভবন নির্মাণ করা যাবে না। অথচ এখন ৩৫তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে’।
 
রিহ্যাব ও রাজউকের মধ্যে একটি সমন্বয় চেয়ে  মন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
 
অপ্রদর্শিত আয় প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, অপ্রদর্শিত ও কালো টাকা এক নয়। বিভিন্ন কারণে এসব টাকার জন্ম। কেউ এক কোটি টাকার জমি কিনেছে বৈধ টাকা দিয়ে অথচ ৫০ লাখ টাকার দলিল তৈরি করা হলো। এতে করে ৫০ লাখ টাকা অপ্রদর্শিত বলে উল্লেখ করা হবে’।
 
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ সভায় বলেন, আবাসন মানুষের মৌলিক চাহিদা। সঠিকভাবে গ্রাহকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে হবে। মানুষকে অহেতুক কষ্ট দেওয়া যাবে না। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে হোম ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ ও নারীদের ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ সুদে হোম লোন দিতে হবে। আবাসন খাতে ব্যাংক ঋণের দেওয়ারও দাবি করেন মতলুব।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, সহ সভাপতি সরদার আমীন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর
 

** পাচার রুখতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি রিহ্যাব সভাপতির

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।