ঢাকা: মোবাইল অপারেটরদের বকেয়া রাজস্ব পরিশোধের তাগাদা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। একই সাথে মোবাইল টাওয়ারের কারণে জনস্বাস্থ্যের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকেও নজর রাখতে অনুরোধ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব-এর সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ আহ্বান জানান নজিবুর রহমান।
মোবাইল অপারেটরদের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রায় ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে নজিবুর রহমান বলেন, দালানের ছাদে মোবাইল টাওয়ার করতে গেলে বিল্ডিং কোড মেনে করতে হবে এবং জনসাধারণের ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
টাওয়ারের নিরাপত্তার প্রতি খেয়াল রাখতে মাঝে মাঝে জনস্বাস্থ্যে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া আছে কি না সে বিষয়ে গবেষণা করতে আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।
মোবাইল অপারেটরদের বকেয়া রাজস্ব পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে এবং জনকল্যাণে বকেয়া রাজস্ব দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এসব বকেয়া পরিশোধ করলে দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে এসব রাজস্ব ব্যবহার করা যাবে।
অ্যামটব সাধারণ সম্পাদক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, মোবাইল টাওয়ারে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয় একটি বৈশ্বিক বিষয়। টাওয়ার একটি বিশাল স্থাপনা নয় যে পুরো দালানকে কাঁপিয়ে দেবে। ছোট ছোট এন্টেনা দিয়ে কাজ হচ্ছে।
অ্যামটবের একজন সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। টাওয়ারগুলো যেন এমনভাবে নির্মাণ করা হয় যাতে ভূমিকম্পে টাওয়ারের মাধ্যমে কোনো ক্ষতি না হয়।
বাংলাদেশে ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে টাওয়ার করা হলেও পাশ্ববর্তী দেশে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে করা হয়। বাংলাদেশে টাওয়ার করতে কাঠামোগত দিকে খেয়াল রাখা হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
কর্মাশিয়াল স্পেসে ভ্যাট মওকুফের দাবি জানিয়ে এমটব’র ওই সদস্য জানান, টাওয়ারগুলো অল্প জায়গা নিয়ে দালানের ছাদে করা হয়। এজন্য ভ্যাট মওকুফেরও দাবি জানান তিনি।
এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, টাওয়ারে কর্মাশিয়াল স্পেসে ভ্যাট হিসাবে ২০১১ সাল থেকে অপারেটরদের কাছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
** ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব অ্যামটবের
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ/