চট্টগ্রাম: রমজানের আগ মুহূর্তে অস্থির হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের ভোজ্যতেলের পাইকারী ও খুচরা বাজার। গত সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিভিন্ন ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে কমপক্ষে তিন দফা।
আমদানিকারক ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতে, ভোজ্যতেলের মজুদ ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও সরকারের দাম বেঁধে দেয়াই ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠার মূল কারণ।
বুধবার চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলী ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ভোজ্যতেল আমদানিকারকদের সূত্রে জানা গেছে, দেশে এক মাসে এক লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। রমজানে তা বেড়ে ৬০ হাজার টনে দাঁড়ায়। জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩৪ হাজার ৫শ’ ১৪ মেট্রিকটন সয়াবিন, ৬৬ হাজার ৬শ ৭৮ মেট্রিকটন পাম অয়েল এবং আট হাজার ৯শ’ ৮৩ মেট্রিকটন সুপার পাম তেল আমদানি হয়েছে। চলতি মাসে মধ্যে খালাসের অপোয় আছে প্রায় এক লাখ টন ভোজ্যতেল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ৪ আগস্ট সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, পাম সুপার ৭৬ টাকা ও পাম অয়েল ৭৩ টাকা খুচরা দর নির্ধারণ করে দেয়। এছাড়া সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৭৬ টাকা, পাম সুপার ৭২ টাকা এবং পাম অয়েল ৬৯ টাকা পাইকারী দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সরেজমিন পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বুধবার সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৭৫.৭৫ টাকা, পাম সুপার ৭৪ টাকা এবং পাম অয়েল ৬৮.৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব আলম তালুকদার জানান, ‘সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পর মিলগেট এবং পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গেছে। দাম বেঁধে দেওয়ায় মিল মালিক এবং ডিও ব্যবসায়ীদের লাভ হয়েছে, সাধারণ ভোক্তাদের কোনো লাভ হয়নি। ’
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অ্যান্ড অয়েল রিফাইনার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আলম বাংলানিউজটোয়েণ্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বন্যা, কানাডায় অতিবৃষ্টি ও আমেরিকার কিছু কিছু অঞ্চলে খরার কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় আর্ন্তজাতিক বাজারে গত দুই সপ্তাহে প্রতি টন তেলের দাম কমপে একশ ডলার বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। ’
বাংলাদেশ সময় ১৫১৪ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট, ২০১০