ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজার দর

বন্যার প্রভাবে রাজধানীতে সবজির দামবৃদ্ধি অব্যাহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৬
বন্যার প্রভাবে রাজধানীতে সবজির দামবৃদ্ধি অব্যাহত ছবি: কাশেম হারুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশব্যাপী বন্যার প্রভাবে নিত্য পণ্যের বাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বন্যার প্রভাবে  রাজধানীর পাইকারী ও খুচরা বাজারে চাহিদামত পণ্য সরবরাহ না হওয়ায় কাঁচা বাজারের প্রত্যকটি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

শুক্রবার (০৫ আগস্ট ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচাপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ, পেয়াজ, বেগুনের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এছাড়া কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে।

বরাবরের মতো কারওয়ান বাজারের পাইকারী বাজারের তুলনায় স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দামে। অন্যদিকে রাজধানীর অন্যান্য এলাকাভিত্তিক বাজারগুলোতে সবজি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়।

রাজধানীর স্থানীয় বাজারগুলোতে ঢেঁড়স, রেখা, মুলা, ঝিঙা, জালি, বরবটি, দুনদুল, পটল ও টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা করে।

বেগুনের  দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি। কচুরমুখী ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০, কাঁচামরিচ ১২০, করলা ৬০, পেঁপে ৪০, শসা ৫০, গাজর ৫০, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২০ টাকা হালি, মিস্টি কুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা পিস, লাউ ৪০ টাকা, প্রতিকেজি আলু ২৫ টাকা।

এছাড়া বাজারে নতুন সিম পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে। লাল শাকের মুঠো ১৫ টাকা, পুঁই শাকের ২০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে।

কাঁচাবাজারের দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতা জসিম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যায়তো সব ভাইস্যা নিয়ে গেছে, দাম বাড়বো না? বাজারে মাল সরবরাহ নাই, দাম তো বাড়বেই। তবে গত সপ্তাহে যে দাম বেড়েছে এ সপ্তাহেও ওই দামে বিক্রি হচ্ছে বলে এ বিক্রেতা দাবি করেছে।

কারওয়ান বাজারে ছুটির দিনে বাজার করতে আসা আরাভী বাংলানিউজকে বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সবজি বেশি টাকা দিয়ে কিনছি। আজকে বেগুন, পেয়াছ ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে।

তবে কাঁচাবাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা থাকলেও রাজধানীর বাজারে এ সপ্তাহে মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। লেয়ার ১৮০ টাকা প্রতিকেজি। আকারভেদে দেশি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।

এ সপ্তাহে গরুর মাংস (বাজারভেদে) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বন্যার প্রভাবে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া রসুন, চিনি ও ডালের চাহিদা দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ (দেশি) ৫০ টাকা, পেঁয়াজ (আমদানি) ৪৫ টাকা।

এ সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, (আমদানি) মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগ ডাল (মানভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম গত সপ্তাহে যে দাম বেড়েছে তা স্থিতিশীল রয়েছে।

এছাড়া মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের দাবি এ সপ্তাহে মাছের দাম একটু বেড়েছে।  

বাজার ঘুরে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বাড়ার চিত্রই দেখা যায়, রুই মাছ (ছোট) ২২০ টাকা, রুই (বড়) ৩৫০ টাকা কেজি। ছোট কাতলা ২২০-২৮০টাকা। চিংড়ি (ছোট) ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৯০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এমসি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।