ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ ফ্যাশন কার্নিভাল

মানে আপোসহীন, সঙ্গে নিরাপত্তায় কেনাকাটা

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
মানে আপোসহীন, সঙ্গে নিরাপত্তায় কেনাকাটা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘ঈদের মার্কেটে ভিড় হয়, পছন্দ মতো, মানসম্মত পোশাক পাওয়া কষ্টকর। তার ওপর নিরাপত্তাও একটা বিষয়।

ঈদের আগে এখানে সুন্দর পরিবেশে দুই মেয়ে আর আমার জন্য কেনাকাটা করলাম। ’

রাজধানীর গুলশান-১-এর ইমানুয়েলস ব্যাঙ্কুয়েট হলে ‘বাংলাদেশ ফ্যাশন কার্নিভালে’ পোশাক কিনতে এসে কথাগুলো বলছিলেন নিকেতনের আলভিনা আনোয়ার।

‘আমাদের সঙ্গে করুন আপনার ঈদের কেনাকাটা’-স্লোগানে ভোগান্তিহীন কোয়ালিটি সম্পন্ন ঈদ কেনাকাটায় শুরু হয়েছে ‘সপ্তম বাংলাদেশ ফ্যাশন কার্নিভাল-২০১৬’। রেড কার্পেট-৩৬৫ লিমিটেড ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পাঁচদিনব্যাপী (১৭-২১ আগস্ট) দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের পোশাক ও পণ্য নিয়ে এ মেলার আয়োজন করেছে।

চাকরিজীবী আলভিনা নিজের জন্য শাড়ি আর দুই মেয়ের জন্য কিনলেন ডিজিটাল প্রিন্ট সেলোয়ার কামিজ। বললেন, কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য কিনতে আমি বেশ সচেতন। প্রতি ঈদের আগে তীর্থের কাকের মতো বসে থাকি। কখন মেলা হবে, আর কিনবো। তবে এবার নিরাপত্তার বিষয়ে খানিক চিন্তিত ছিলাম। এসে কঠোর নিরাপত্তা দেখে স্বস্তি পেলাম।

সহনীয় দামে জেরি কোটা কিনলেন শাহনাজ মুনিরের সঙ্গে আসা আফরোজা খানম। বললেন, ঈদের সময় মার্কেটে ঘোরা অসম্ভব। তার ওপর ভালো পণ্য পাওয়া কষ্টকর। এক ছাদের নিচে নারীদের সব পোশাক-জুয়েলারি পাওয়া যাচ্ছে। গুলশানে হামলার ঘটনার পর প্রথম আজ বের হলাম। এখানে কিনতে এসে নিরাপত্তা দেখে ভালো লাগছে খুব।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, গুলশান হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে অন্যবারের চেয়ে এবার মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মেলার গেটে সশস্ত্র পুলিশ। প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে। আরও আছে- আর্চওয়ে হয়ে ভেতরে প্রবেশ। সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলছে মেলা।

সুনাইনা বুটিকের কর্ণধার সুনাইনা বলেন, নানান ডিজাইনের শাড়ি, মসলিন, জেরি ও সিল্ক কোটা ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু ব্রান্ডের পোশাক। দেড় থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এসব।

‘এছাড়া ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার শাড়িও রয়েছে। কোয়ালিটিতে আপোস নেই বলে বিক্রিও ভালো’, বলেন তিনি।

লা-মিরাজের কর্ণধার রিতিকা বলেন, ক্রেপ কাপড়ের কুত্তি, থ্রি-পিস, ডিজিটাল প্রিন্টের সেলোয়ারের চাহিদা বেশি। ক্রেতা চাহিদা পূরণে আমরা চেষ্টা করছি।

বিখ্যাত গুল আহমেদের ঈদ কালেকশান পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। পাওয়া যাচ্ছে রনি ফ্রেবিক্সের বিছানার চাদর, বেড শিটসহ নানা পণ্য।

রেড কার্পেট-৩৬৫ লিমিটেডর সিইও আহমেদ ইমতিয়াজ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে নিরিবিলি পরিবেশে কোয়ালিটি সম্পন্ন দেশি-বিদেশি পণ্য এখানে পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এক ছাদের নিচে ঈদের সব পণ্য সুলভ মূল্য ও ছাড়ে পেয়ে ক্রেতারা বেশ সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
আরইউ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।