ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে ৬০ কোটি টাকার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
সিলেটে ৬০ কোটি টাকার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

সিলেট: এবার ঈদ-উল আজহায় সিলেটে প্রায় ৬০ কোটি টাকার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এর মধ্যে গরুর চামড়া প্রায় ৮০ হাজার পিস, খাসি ৩০/৩৫ হাজার ও ২০/২৫ হাজার পিস ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

তবে আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার ফুট প্রতি চামড়ার দাম কমেছে বললেন ব্যবসায়ীরা।

এবার গরুর চামড়ার ফুট ৪০ টাকা, খাসি ২০ ও ছাগলের চামড়া ১৫ টাকা ফুট নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের বছর গরুর চামড়া প্রতি ফুট ৪৫/৫০ টাকা দরে কেনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সিলেট শাহজালাল বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি নেতারা।

এছাড়া চামড়া ক্রয়ে ব্যবসায়ীদের টার্গেট পূরণে প্রধান বাধা বিনিয়োগের পর্যাপ্ত টাকা না পাওয়া, লবণের দাম বেড়ে যাওয়া। আর প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছেন না ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদ-উল আজহায় সিলেটে চামড়ার তিনটি হাট বসে। সেগুলো হলো- সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠ, সুরমা মার্কেট ও দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলা। সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির জবাই করা পশুর চামড়া এনে এসব হাটে বিক্রি করা হয়।

সিলেটে চামড়া বিক্রির শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৬০টি সমিতি অন্তর্ভুক্ত। বাকিগুলো সমিতির বাইরে হলেও সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকায় ট্যানারিতে পাঠানো হয়।

সিলেট শাহজালাল বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছমির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এবার ৮০ হাজার পিস গরুর চামড়া, ৩০ হাজার পিস খাসির চামড়া ও ২০ হাজার পিস ছাগলের চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

সিলেট শাহজালাল বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রায় লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া সংগ্রহের টার্গেট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা। তবে ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে গত বছরের পাওনা টাকার ৬০ শতাংশ পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। আগের বছর ৫০ কোটি টাকার চামড়া সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, এবার চামড়ার বাজারদর ভালো না। এর মধ্যে আবার লবণে স্মরণকালের দাম বেড়েছে। এবছর লবণের বস্তা ১৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর বিক্রি হয় ৬২০ টাকায়। লবণের দাম বাড়ায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে না পারলে অনেক চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।