ঢাকা: রমজানের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার রাজধানীর বাজারে বেগুন, মাছ ও চিনির দামে কিছুটা অস্থিরতা দেখা গেলেও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ছিল অনেকটাই স্থির। নতুন করে আর কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি।
গত বছর রমজানের তুলনায় এবার বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের বেঙ্গল স্টোরের মালিক মহিউদ্দিন।
তিনি জানান, রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে প্রথমেই বাড়ে, এবার প্রথমদিকে যখন বাড়েনি, এখন আর বাড়বে না।
কাঁচা মরিচ গতকাল স্থানভেদে কেজিপ্রতি দেড় থেকে দুইশ’ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার সর্বোচ্চ একশ’ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজি প্রতি এক-দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন পাইকারি ৭৮, সুপার ৭৬ ও পাম বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৩ টাকার মধ্যে।
বোতলজাত ভোজ্যতেলের মধ্যে পুষ্টি খুচরা ও পাইকারী লিটারপ্রতি ৮০-৮৩ , ফ্রেশ ৮৩-৮৫, তীর ৮৩, এস আলম ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ্। ে তবে রূপচাঁদার দাম বর্তমানে পাইকারি কেজিপ্রতি ৮৮.৮ টাকায় বিক্রি করা হলেও দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন যোগানদাতা আমির হোসেন।
চিনির সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৪৭ টাকা কেজি হলেও স্থানভেদে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোজার আগে বেগুন ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শশার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ২০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি একশ’ ৩৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
চাল, ডাল, ছোলার দাম বাড়েনি। খুচরা বাজারে ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩-৪৫, রসুন দেড়শ, বেসন ৬০, আদা একশ’ ২০, আলু ১৫, পেঁয়াজ ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানভেদে গরুর মাংস আড়াইশ’ থেকে ২শ’ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১০