ঢাকা: ব্যাংক ঋণের ৬০ শতাংশই দখল করে আছেন দেশের কোটিপতিরা।
বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান ঘেটে দেখা গেছে, কোটিপতি আমানতকারীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসব ঋণগ্রহীতার সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২০০৯ সালের পঞ্জিকা বছরে ব্যাংকিং খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৮৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫২৩ জন।
এর মধ্যে এক কোটি টাকার ওপরে ঋণ নেওয়া ঋণগ্রহীতার সংখ্যা হচ্ছে ২৯ হাজার ৪৫৮ জন। এদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে মাত্র দশমিক ৩৪ ভাগ আমানতকারী মোট ঋণপ্রবাহের ৬২ শতাংশের বেশি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এর আগের বছর (২০০৮) কোটি টাকার ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ২০৬ জন এবং তাদের গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল মোট ঋণ প্রবাহের সাড়ে ৬২ শতাংশ।
অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার ঋণগ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ২৫২ জন।
ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, সাধারণ আমানতকারীদের অধিকাংশই ব্যাংকে টাকা রাখেন সঞ্চয়ের জন্য। অন্যদিকে কোটিপতি গ্রাহকদের েেত্র সঞ্চয়ের চেয়ে ঋণ গ্রহণের প্রবণতাই বেশি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে দেশে ১ কোটি টাকার বেশি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল মাত্র ২১২ জন।
১৯৯০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১২৫ জনে এবং গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল মোট ঋণ প্রবাহের ৩৮ শতাংশ।
জুন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের শেষে কোটি টাকা ঋণগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪ হাজার ৫২৬ জন এবং ৮ হাজার ৮৪৪ জনে।
এ দু’ বছরে গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল মোট ঋণ প্রবাহের যথাক্রমে ৪৪ এবং প্রায় ৫২ শতাংশ।
২০০৭ সালে কোটি টাকা ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১ হাজার ২১৫ জন এবং গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল মোট ঋণ প্রবাহের সাড়ে ৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০