ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘এসডিজি অর্জনের পূর্বশর্ত সুশাসন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
‘এসডিজি অর্জনের পূর্বশর্ত সুশাসন’ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরামর্শ গ্রহণ বিষয়ক আলোচনা সভা

ঢাকা: ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুশাসন ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। এসডিজি অর্জনের পূর্বশর্ত সুশাসন’ বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) নগরীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরামর্শ গ্রহণ বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এটিকে আরও কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে নানা ধরনের কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে’।


 
দেশের সার্বিক উন্নতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর দেশ বাংলাদেশ। দেশের সব শ্রেণীর মানুষের কারণেই এ বিস্ময় সম্ভব হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করা। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত বিশটি দেশের কাতারে বাংলাদেশকে সামিল করা’।  

‘বর্তমান সরকারের উদ্যোগ হচ্ছে, সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন। কাউকে পিছিয়ে রেখে টেকসই অগ্রগতি অর্জন হতে পারে না’।
 
তিনি আরও বলেন, ‘সব শ্রেণীর মানুষ উন্নয়নে সামিল হবেন। দেশের কামার, কুমোর, বেদে, তাঁতী থেকে শুরু করে সবাইকে মূল অর্থনীতিতে যোগ করবো। তাদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রকল্প গ্রহণ করবো। দেশের উন্নয়নের সুবাতাস সবার মধ্যেই ছড়িয়ে দেবো’।
 
প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি সাড়ে সাত শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে। ২০২০ সালের আগেই আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার ৮ শতাংশে উন্নীত করতে পারবো’।
 
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাত বছর আগেও এডিপি’র বাস্তবায়ন ছিল মাত্র ২২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এ হার ৬ গুণেরও বেশি বেড়েছে। কারিগরি ও দক্ষ জনশক্তি এক শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে এ হার শতকরা ২২ শতাংশে উন্নীত হবে’।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
 
তিনি আরও বলেন, ‘এমডিজির মতো এসডিজি বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ সফল হবে। তবে এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগিতা দরকার। সরকারের একার পক্ষে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়’।
 
মেগা প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা সরকারি অর্থায়নে (জিওবি) পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কোনো উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী সাহসের সঙ্গে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়িত হচ্ছে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়িত হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকায়। এক সময় এডিপি’র আকারই ছিল মাত্র ২২ হাজার কোটি টাকা’।  
 
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য (এসডিজি) ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গণমাধ্যমের সঙ্গে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
জিইডি’র সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি  মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন, দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ও ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।  
                                                                      
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।