ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর দিতে জনগণ গর্ববোধ করে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
কর দিতে জনগণ গর্ববোধ করে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ অন্যরা, ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের জনগণ এখন কর দিতে গর্ববোধ করে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব ভবনে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মুহিত বলেন, গত এক দশকে ব্যাপকভাবে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি কমেছে।

এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়ে কর দিতে আগ্রহী হচ্ছে। এজন্যই চলতি অর্থবছরে সরকারের নতুন করদাতা তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা তা তিন মাসেই পূরণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, করদাতার সংখ্যা এরই মধ্যে ২৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, নতুন করদাতাদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ৪০ এর কম। আগামীতে দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগমান করতে তরুণদের অংশগ্রহণ আমাকে আশান্বিত করেছে।

কাস্টমস কর্মকর্তাদের আচরণগত পরিবর্তন হয়েছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, করদাতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তাদের আচরণ বড় ভূমিকা রেখেছে। কেননা তারা তাদের ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব উন্নয়নে জনগণকে আহবান জানিয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজস্ব ফাঁকিবাজদের ধরতেও ব্যাপক ভ‍ূমিকা পালন করে চলেছে কাস্টমস।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দেশব্যাপী পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদার হচ্ছে। বিদায়ী অর্থবছরে ৭.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০১৭ উপলক্ষে কাস্টমসে বিশেষ অবদানের জন্যে সার্টিফিকেট অব মেরিট সম্মাননা পেয়েছেন  ১৩ কর্মকর্তা ও ৭ প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসজে/আরআর/টিআই
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।