ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারের ৫০ শতাংশের যোগান দেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
বাজারের ৫০ শতাংশের যোগান দেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস  চতুর্থ এশিয়ান এলপিজি সামিটে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন প্রতিষ্ঠানের ডিজিএম ( বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড প্লানিং) প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া জালাল;ছবি-জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে চাহিদার ৫০ শতাংশ যোগানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড। এছাড়া গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তৈরি করা হচ্ছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত চতুর্থ এশিয়ান এলপিজি সামিটে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের প্যাভিলিয়নে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

এ সম্পর্কে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের ডিজিএম (বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া জালাল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে আমরা ২৭ শতাংশ এলপি গ্যাসের যোগান দিচ্ছি।

তবে আমরা আশা করছি আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে আমরা ৫০ শতাংশ এলপি গ্যাসের যোগান দিতে পারবো। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই আমাদের কার্যক্রম চলছে।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেশের যে কোনো এলপি গ্যাসের কোম্পানি থেকে ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের যতগুলো এলপি গ্যাস কোম্পানি রয়েছে তাদের মধ্যে সিংহভাগ সিলিন্ডার আমরা উৎপাদন করি। বেশিরভাগ কোম্পানিই বিদেশ থেকে সিলিন্ডার আমদানি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে সিলিন্ডারগুলোর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়, কারণ সেগুলোর মান পরীক্ষার জন্য সরকারি বা বেসরকারি কোনো পরীক্ষাগার নেই। এ ক্ষেত্রে সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার তৈরিতে। বাংলাদেশে আমরাই শুধু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্যাস সিলিন্ডারগুলোকে পরীক্ষা করি, যেন গ্রাহকরা নিরাপদে আমাদের এলপি গ্যাস ব্যবহার করতে পারে। চতুর্থ এশিয়ান এলপিজি সামিটে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড়; ছবি- জি এম মুজিবুরএখন থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের অর্ডার পয়েন্টে অর্ডার করে পাঁচ মিনিটেই পেয়ে যাবেন সিলিন্ডার। তার জন্য গ্রাহকদের ০১৯৯-১১৯৭৮০৪ নাম্বারে কল করে নিজের বাসার লোকেশন এবং কয়টি সিলিন্ডার লাগবে সেই তথ্য দিতে হবে। অর্ডারের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ডেলিভারি পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।

এ সম্পর্কে জাকারিয়া জালাল বলেন, আমাদের সেবা গ্রাহকদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবার জন্য প্রাথমিকভাবে এই উদ্যোগ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গ্রহণ করেছি। পরবর্তীতে গ্রাহকদের সাড়ার ওপর নির্ভর করে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরেও এই সেবা চালু করার চিন্তা রয়েছে আমাদের। এছাড়া জরুরিভিত্তিতে আমরা দেশের যেকোনো শহরের শিল্প-কারখানায় ট্রাকের মধ্যমে এলপি গ্যাস সরবরাহ করে থাকি।

এলপি গ্যাস সেক্টরের সম্ভাবনা থাকলেও কিছু বাধা রয়েছে উল্লেখ করে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের ডিজিএম বলেন, এলপি গ্যাসের বাজার বাংলাদেশে দিন দিন বড় হচ্ছে এবং চাহিদাও বাড়ছে। তবে এ শিল্পের সম্প্রসারণে কিছু কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেমন একটি কোম্পানি যদি এলপি গ্যাস প্লান্ট খুলতে চায়, সেক্ষেত্রে তাকে প্রায় ২৪টি লাইসেন্স সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে নিতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন মেশিনারিজের ওপর কিছু কিছু ট্যাক্সও রয়েছে যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং এর প্রভাব ক্রেতাদের ওপরও পড়ছে।

সরকার যদি এ সব সমস্যা নিরসনে সরকার কাজ করে তাহলে বাংলাদেশের এলপি গ্যাস সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।

আন্তর্জাতিক এলপিজি অ্যাসোসিয়েশন, অল ইভেন্ট গ্রুপ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এই চতুর্থ এলপিজি সামিটের আয়োজন করেছে। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড এ সামিটের গোল্ডেন স্পন্সর।

এতে বসুন্ধরাসহ দেশি-বিদেশি ৬৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যারা মূলত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বাজারজাত, সিলিন্ডার ও অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশের উৎপাদক হিসেবে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭,২০১৭
এমএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।