ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কালো টাকা পাচারের কারণে বিনিয়োগ বাড়ছে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
কালো টাকা পাচারের কারণে বিনিয়োগ বাড়ছে না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: কালো টাকা পাচারের কারণে দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

যাদের কাছে কালো টাকা আছে তারা অধিকাংশই বিভিন্ন দেশে ‘সেকেন্ড হোম’ করে সে অর্থ পাচার করে দিচ্ছেন বলেও মত দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত প্রি-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থ মন্ত্রণালয় এই আলোচনার আয়োজন করে।

মুহিত বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগের গন্তব্য প্রশ্নবোধক হয়ে গেছে। আমাদের অনেকেই বিদেশে বিনিয়োগ করছেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম করেছেন। দিস ইজ পাবলিক ইনফরমেশন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে। তা রোধে আগামী বাজেটে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, অনেকে বিদেশে বিনিয়োগ করছেন। বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তোলা হচ্ছে। মূলত কালো টাকা দেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ না থাকায় টাকা পাচার হচ্ছে।
বৈঠকে অতিথিরা, ছবি: জিএম মুজিবুরআগামী বাজেটে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন অর্থনীতিবিদরা, এ বিষয়ে তার মন্তব্য, আমিও মনে করি কিছু করা দরকার। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বাজেটে কিছু একটা করা হবে। এদিকে প্রবাসী আয় কমেছে। তবে বিদেশে জনশক্তি রফতানি বেড়েছে। এতে প্রবাসী আয়ে ঘাটতি কিছুটা সমন্বয় হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামীতে গ্রামগুলোতে বহুতল ভবণ নির্মাণে উৎসাহিত করা হবে। এই ধরনের পদক্ষেপ দক্ষিণ কোরিয়াতে নেওয়া হয়েছে। জেলা বাজেট বাস্তবায়ন না হওয়ায় অর্থনীতিবিদরা সমালোচনা করেছেন। কেন বাস্তবায়ন হয়নি তা আমি বলিনি। জেলা বাজেট বাস্তবায়নের সঙ্গে বড় ধরনের প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা দরকার। এদিকে নজর দিতে পারছি না। ফলে জেলা বাজেট বস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এ ধরনের ৪৬টি কর্মসূচি চলছে। আগামীতে তা কমিয়ে আনা হবে। নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সরকার বিনিয়োগ বাড়াবে। ফলে সংস্কার করা হবে।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে প্রাইভেট করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হেলথ কেয়ার চালু, আর্থিক খাতের সংস্কার, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি পূরণ, মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় মনিটরিং ব্যবস্থা।

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ, মামুনুর রশীদ, আহসান এইচ মনসুর, সাবেক অর্থসচিব এম তারেক রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭/আপডেট ১০৫৬ ঘণ্টা
এসই/এমজেএফ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।