খুলনা: খুলনার দাদা দিয়াশলাই কারখানা (ম্যাচ ফ্যাক্টরি) বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে বিক্ষোভ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
দাদা দিয়াশলাই কারখানার শ্রমিক সিবিএ নেতা এইচএম শাহাদাত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ভাইয়া গ্রুপ মিলটি সুইডিশ কোম্পানির কাছ থেকে ইজারা নিয়ে চালিয়ে আসছিল। গত ১০ মাস মিলের শ্রমিকরা বেতন ভাতা পায়নি। কিন্তু তারা পাওনা না মিটিয়ে হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শ্রমিকদের ছাটাই করে। যেখানে শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে সেখানে মিল বন্ধ করে দেওয়া অমানবিক। ’
তিনি বলেন, ‘মিল কর্তৃপক্ষ গতকাল রাতে (মঙ্গলবার) আমাদের ঢাকায় ডেকেছে। তাই আজ (বুধবার) ঢাকায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় অবস্থান করছি। ’
লোকসানের কারণে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মিলটির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মিলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খুব দ্রুত শ্রমিকদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
খুলনা সদর থানা অফিসার ইন-চার্জ মুনীর উল গিয়াস বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ ঘোষণা করেছে। মিলটিতে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় এজন্য কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ’
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, এ কারখানার স্থায়ী শ্রমিক সংখ্যা ৫ শতাধিক। দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিক ২৫০ জন। ১৯৮৪ সালে সরকার এই কারখানাটি সুইডিশ কোম্পানির কাছে ইজারা দেয়। পরবর্তীতে তারা ১৯৯৩ সালে ভাইয়া গ্রুপের কাছে ইজারা হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১০