ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাহাজ নির্মাণশ্রমিকদের নিরাপত্তায় নতুন প্রকল্প

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
জাহাজ নির্মাণশ্রমিকদের নিরাপত্তায় নতুন প্রকল্প

ঢাকা: পোশাক কারখানার বাইরে অন্যান্য খাতের শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত ও নিরাপত্তার জন্য আড়াইশ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

আসন্ন মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

পোশাক কারখানার বাইরে সব শ্রমিকের অধিকার এবং নিরাপত্তার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে- প্রশ্নে মুজিবুল হক বলেন, ‘লেবার ল’ সবার জন্য।

কর্ম পরিবেশ শুধু এক সেক্টরে না, সব সেক্টরের জন্য। কর্ম যেখানে সেখানে। শ্রম আইন অনুযায়ী আমরা যেটা বুঝি, যেখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সেটাই কর্মস্থল। সেই হিসেবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ৮৩ লাখ অর্থনৈতিক ইউনিট আছে, যা ইন্সপেকশনের আওতায়। কিন্তু সেই ৮৩ লাখ কি একসঙ্গে পারবো? না পারবো না। যার জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছি।

“প্রথমে যেহেতু আমাদের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ গার্মেন্টস সেক্টর এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টসকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এখন আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি, একটা প্রজেক্ট করে যেসব ভালনারেবল যেমন- কেমিক্যাল, রি-রোলিং এসব করবো (সেফটি)। আস্তে আস্তে সব সেক্টরে করতে হবে। যেগুলো বেশি রিস্কি সেগুলোতে আমরা আগে যাবো। ”

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আইন আছে তবে মানাটা হলো সব থেকে বড় প্রয়োজন।
 
শ্রমসচিব মিকাইল শিপার বলেন, গার্মেন্টস সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ৪০ লাখ শ্রমিক জড়িত ছিলেন। একটা ইনসিডেন্টের পর ফুল কনসেন্ট্রেশন ছিল। কিন্তু আমরা এরইমধ্যে সেখান থেকে উঠে এসেছি।
 
পোশাক কারখানার বাইরে অন্য কারখানার নিরাপত্তার জন্য নতুন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে শ্রমসচিব বলেন, আমরা সরকারি অর্থায়নে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। একটা প্রকল্প প্রস্তুত করেছি। সেটা সম্ভবত ২শ’ থেকে আড়াইশ’ কোটি টাকার প্রজেক্ট হবে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে।
 
“আদারদেন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি যেগুলো ভালনারেবল অবস্থায় আছে, রি-রোলিং মিল, বয়লার নিয়ে যারা কাজ করছে, কেমিক্যাল ইনক্লুডিং জাহাজ নির্মাণ- এগুলোর সেফটি সাইট নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করেছি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি সরকারের কাছে প্রকল্প প্লেস করবো। ”
 
সরকার ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন করছে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, নিরাপদ কর্ম পরিবেশের জন্য আইন ও নীতিমালা আছে। প্রত্যেক ফ্যাক্টরিতে সেফটি কমিটি করার জন্য আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। আইন করলে বাস্তবায়নে সময় লাগে। তবে আমরা মালিক ও শ্রমিক নেতাদের পক্ষ থেকে সাড়া পাচ্ছি। আমার মনে হয়, প্রত্যেক ফ্যাক্টরিতে মালিকরা সেফটি কমিটি করবে। কমিটি করলে মালিক-শ্রমিকরা একসঙ্গে বসলে পদক্ষেপ নিতে পারলে অনেক উপকার হয়।

যে কোনো শ্রমিকের কর্মস্থল এবং স্বার্থের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। এটা এনশিওর করার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক হাজার কারখানায় সেফটি কমিটি আছে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

দিবস দু’টি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

** ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আইন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এমআইএইচ/জিপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।