ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাকশিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ চান ব্যবসায়ীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৭
পোশাকশিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ চান ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থ বছর কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। দেশের ৪৬তম বাজেটে কি থাকছে বা তা কেমন হওয়া উচিত এ নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। রফতানি খাতের সবচে আয়ের উৎস পোশাকশিল্পকে রক্ষার জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট প্যাকেজ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

২০১৭-১৮ বাজেটটি হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের তত্ত্বাবধায়নে ৯ম বাজেট।   ৮ম বাজেটে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের অপূর্ণ চাহিদাগুলো ৪৬তম বাজেটে এসে পূরণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিজিএমইএ এর নেতৃবৃন্দ।

বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দদের তরফে জানা যায়, আসন্ন ৪৬ তম বাজেটে উৎসে কর হ্রাস করা, জ্বালানির মূল্য হ্রাস করা, এফওবির ওপর নগদ প্রণোদনা দান, কর্পোরেট ট্যাক্স হ্রাস করা, ডলারের অবমূল্যায়ন রোধের ব্যবস্থা নেয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ তথা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি করছেন পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ীরা। এই ধরনের বাজেট হলে তা হবে শিল্প সক্ষমতার বাজেটও।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি করা হয়। কিন্তু ৪৫তম বাজেটে তা না করে বরং দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করা হয়। এ কারণে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশের রফতানি খাতের বড় অংশ দাঁড়িয়ে আছে পোশাকশিল্পের ওপর। কিন্তু প্রতিমুহূর্তে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের। উৎসে কর না কমালে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাবে। আর তাই উৎসে কর কমিয়ে শূন্য শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও তার প্রভাব আমাদের এখানে পড়েনি। জ্বালানির মূল্য বাড়ালে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসাবাণিজ্যে। পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ডলারের অবমূল্যায়ন যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মোট কথা শিল্প ধরে রাখতে বাজেটে প্যাকেজ দরকার। নয়তো ব্যবসায় টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ফেরদৌস পারভেজ বিভন মনে করেন, সরকারের উচিত পোশাকশিল্পের জন্য বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো ও ৫ শতাংশ হারে নগদ এফওবি (ফ্রি অন বোর্ড) প্রণোদনা দেয়া।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর বাজেট হলেই আমাদের খরচ বেড়ে যায়। এখন এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যে, আমাদের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এই সময় সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। বাজেটে এফওবি-র ওপর অন্তত ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেয়া উচিত। পাশাপাশি বর্তমানে যে, ২০ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স আছে, তার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ২০  শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে আনলে তা ব্যবসায়ীদের কাছে সহনীয় হবে। আর তা না করা হলে ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়বেন। পোশাকশিল্পও বিকশিত হবার বদলে ক্ষতিগ্রস্তই হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
ইউএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।