ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল-পিঁয়াজের দাম কি আর কমবে না?  

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
চাল-পিঁয়াজের দাম কি আর কমবে না?   মোহাম্মদপুর বাজারে পিঁয়াজ/ছবি: শাকিল

ঢাকা: গত একবছর ধরে চালের বাজার অস্থির। সঙ্গে বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে অস্থিরতা দেখা দেয় পিঁয়াজের দামে। সবজির দামও খুব কম ছিল না বছরজুড়ে। তবে চাল ও পিঁয়াজের দামের কারণে আমরা যারা সাধারণ ক্রেতা আছি তাদের অবস্থা খুব খারাপ। চাল ও পিঁয়াজের দাম কি আর কমবে না?

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা মো. জামাল ক্ষোভ নিয়ে বলছিলেন একথা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে সাপ্তাহিক বাজার করতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।

চাহিদা মেটাতে সবজি, মাছ, মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য নিয়ে বসেছেন বিক্রেতা। তবে ক্রেতারা সবজি, মাছ, মাংসের বাজারে মোটামুটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও চাল ও পিঁয়াজের বাজারে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস।

সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা, পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।

অন্যদিকে পিঁয়াজের সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা পিঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে চালের খুচরা ব্যবসায়ী রিপন বাংলানিউজকে বলেন, বোরো মৌসুমের চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। চাল বেশি দরে কিনে আমাদের বেশি দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
 
পিঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, পিঁয়াজের দাম কমবে কখন জানি না। মনে হয় শীত শেষ হওয়ার আগে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোহাম্মদপুর সবজি বাজারএ বিষয়ে বাজার করতে আসা ক্রেতা সুলেমান হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবার বাজার করতে আসার সময় ভাবি আজ গিয়ে দেখবো চাল ও পিঁয়াজের দাম কমেছে। কিন্তু তেমনটা হয় না। দাম আমাদের হাতের নাগালের বাইরে।

তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি বেগুন ৪০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০-৫০ টাকা, প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম।

মাছের সবশেষ বাজার খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ  ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকায় মিলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমএসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।