মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর এখন বৈশ্বিকভাবেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
‘আমরা এ বিষয়ে কার্যকর ও বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেবো। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার সবগুলোতেই মামলা হয়েছে। অনেকেই দুদকের তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকেই জেলে আছেন। আমরা কিন্তু কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। ’
তোফায়েল বলেন, ব্যাংকের লোনেই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন। দেশের শিল্পায়নের যে অগ্রগতি তা ঋণের টাকাতেই হয়েছে। কিন্তু দেখতে হবে ঋণের বিপরীতে যথেষ্ট পরিমাণ জামানত রাখা হয়েছে কিনা। ঋণের টাকা ফিরে আসছে কিনা। আমরা তো ঋণ দিতে তদবির করি না। দালালি করি না। ত্রুটি নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি তাই ভালো দিকটাও তুলে ধরা উচিত।
পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেংকারিতে বাংলাদেশিদের নাম আসা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুদক ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্ত করছে। যারা মানি লন্ডারিং করছে তারা বিচারের সম্মুখীন হবেন। অনেকেতো জেলেও আছেন। এখানে ব্লেম গেম খেলার সুযোগ নেই। সরকার এখানে চুপ থাকতে পারে না। অর্থমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএস’র সিনিয়র ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
আরএম/এএ