ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০৪১ সালের মধ্যেই ২০তম অর্থনীতির বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
২০৪১ সালের মধ্যেই ২০তম অর্থনীতির বাংলাদেশ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

ঢাকা: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে। সারা পৃথিবীতে ২০টি দেশের একটি হবে বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার মন্ত্রণালয়ে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।



মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ছিলো ৫৮তম, এখন ৪৩তম। এখনও ২৩ বছর আমাদের হাতে রয়েছে। সেই হিসাবে আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে ২০৪১ সাল নাগাদ। ২০১৮ সালের শেষে বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম দেশ হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাবো।

পরিকল্পণামন্ত্রী বলেন, গরিব দেশ হওয়ার অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। আর দারিদ্র দেখতে চাই না। স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে  স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় উঠেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ৪৩ বছর পর আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেলাম। হয়তো আমাদের এখানে আসতে অন্যদেশের তুলনায় সময় বেশি লেগেছে। কিন্তু এখন আমরা খুব দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবো। কারণ আমাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি।
 
তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষম জনশক্তি আমাদের অন্যতম শক্তি, যা বিশ্বের কম দেশেই রয়েছে। এটা আমরা ধরে রাখতে পারবো ২০৬১ সাল পর্যন্ত।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটির যেকোনো দু’টি অর্জন করতে পারলেই স্বীকৃতি মেলে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাউন্সিলের মানদণ্ডেউন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ ডলার। সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৬১০। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ বা এর বেশি। বাংলাদেশ সেখানে অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। এছাড়া অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে হতে হবে ৩২ বা এর কম। সেখানে বাংলাদেশের আছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিপিডি) হিসাব। ’

উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ করছি। গ্যাস, বিদ্যুতের উন্নয়ন করছি। ২০৩০ সালে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করবো। আমাদের প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে কাজ করা দরকার। হয়তো আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ কম। তবে আমরা তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি তাদের বিনিয়োগ বাড়বে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।