বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থবছরের দশ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) মোট আয়ও বেড়েছে। এসময় মোট এক হাজার ২০৮ কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।
তথ্য মতে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের (২০১৫-১৬) অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম রেমিটেন্স আসে। গত মার্চে ১৩০ কোটি ৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা এর আগের মাস ফেব্রুরির তুলনায় ১৫ কোটি ডলার বেশি ছিল। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ওই মাসে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল। চলতি অর্থবছরের ৯ মাস পর্যন্ত (জুলাই-মার্চ) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয় বেড়েছিল ১৭ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৩২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। যা মার্চে ছিল ৩১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দু’টি ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি নয় লাখ ডলার এসেছে যা মার্চে ছিল এক কোটি ১৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে, যা মার্চে ছিল ৯৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার এসেছে, যা মার্চে ছিল এক কোটি ৩৮ লাখ ডলার। বরাবরের মতো সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আহরণকারী বেসরকারি হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের পরে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংক। গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকটি রেমিটেন্স আয় করেছে ১৩ কোটি ডলার। আগের মাসে ছিল ১২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ডলার এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এসই/এসএইচ