বৃহস্পতিবার (৩ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়কমন্ত্রী কবসাক পুত্রাকুলের নেতৃত্বে থাই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে একথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের ১০০টি প্রকল্পে প্রায় দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত নগদ আর্থিক সহায়তার সুযোগ নিতে পারবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। সাথে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের এফটিএ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, এ মহূর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬ হাজার ৯৯৮টি পণ্য রপ্তনি ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪৮ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৭৮১ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধসহ যেসব পণ্য থাইল্যান্ডে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এমন আরো ৩৬টি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানানো হয়েছে এবং থাইল্যান্ড ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা সহজ করার জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০২১ সালে উভয় দেশের বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। গতবছর বাংলাদেশে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ছিল। এ বছর আরো বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুত করছে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে ওষুধ রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বিনিয়োগের বিষয়ে বিডার সাথে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের সাথে পর্যটন, ফাইনান্স, ম্যান্যুফেকচারার্সসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বসেরা। আগামীতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীস বসু, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম, থাইল্যান্ডের ডেলিগেশন সদস্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ