শনিবার (৫ মে) রাজধানীর মিরপুর এলাকার খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে এমনটাই জানা গেছে।
রমজানে যেসব পণ্য সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিক্রি হয় তার খুচরা বাজার দর বেড়েছে গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে।
এছাড়া মসলার খুচরা বাজারে জিরা প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০, হলুদের গুঁড়া ১৮০ থেকে ২০০, মরিচের গুঁড়া ২৫০, সরিষা ৮০, ধনিয়া ১২০, দারুচিনি ৪০০, এলাচ বড় ২ হাজার, ছোট ১৬০০, লবঙ্গ ১২০০, কালিজিরা ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব প্রত্যেকটি পণ্যের দাম আগেই বেড়ে এখন স্থিতিশীল হয়েছে এবং রমজান মাসেও একই থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মিরপুর-১ এর পাইকারি বিক্রেতা সাইদুর ইসলাম জানান, দাম বৃদ্ধির পালা শেষ। এখন আর বাড়বে না। দাম স্থিতিশীল থাকার ব্যাপারে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া সরকারি লোকজন মাঝেমধ্যে বাজার পরিদর্শনেও আসছে। আর দাম বাড়ার ব্যাপারে আমাদের হাত নেই। এটা আড়ৎদারদের বিষয়।
এদিকে মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার খুচরা বিক্রেতা জীবন বাংলানিউজকে জানান, দাম বাড়ার প্রক্রিয়ায় এবার পরিবর্তন এসেছে। রমজানের অনেক আগে থেকে দাম বেড়েছে। আর এই দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট পরিচালিত হয় যারা মাল আড়তে আটকে রাখে তাদের মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকেন। এবার মসলার উৎপাদন কম হয়েছে বলে আড়ৎদাররা আমাদের জানিয়েছেন। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে দাম আর বাড়বে না। আবার কমার সম্ভাবনাও নেই।
আবার অনেকে অভিযোগ করেছেন, খুচরা ব্যবসায়ীরাও আগে থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে রাখেন। পরে তারা বেশি দামে বিক্রি করেন।
যেভাবেই হোক ভোগান্তিটা একমাত্র সাধারণ জনগণের বা ক্রেতাদের এমন আক্ষেপ করে বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত জিয়া বাংলানিউজকে জানান, দাম যে কোনো উপায়ে বেড়েছে। বরং এবার ভোগান্তিটা বেশি। অন্যবার রমজানের শুরুতে বা আগ দিয়ে বাড়ে। এবার বেড়েছে অনেক আগে থেকেই। সরকারের নির্দেশনায় দাম আর বাড়বে না তা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আগে থেকেই তো দাম বেড়ে বসে আছে। এ দিকটা সরকারের নজর দেওয়া উচিৎ ছিলো।
এস এম লুৎফর রহমান নামের বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসায়ীদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অন্য বছরের তুলনায় এবার সব কিছুর দাম অতিরিক্ত বাড়তি। শুধু আলুর দামটা ঠিক আছে। তাও বেড়ে যেতে পারে। রমজানে ইফতারের জন্য যেসব জিনিস দরকার হয় তার দাম কোনো কারণ ছাড়াই এখন বাড়তি। এগুলো আসলে আমাদের মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ৫ মে, ২০১৮
এমএএম/আরআর