বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মিশ্র মনোভাব ব্যক্ত করেছেন খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী নেতারা।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।
প্রস্তাবিত বাজেটকে গণবিরোধী বাজেট বলে আখ্যা দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, উচ্চাভিলাষী এ বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়বে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সরকার একটি উচ্চাভিলাষী বাজেট করেছে। এতো বিশাল ঘাটতির বাজেট কখনই পূরণ করা সম্ভব নয়। যেসব পণ্যের ভ্যাট কমানো হয়েছে তা কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য নয়। তাই আমি মনে করি জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে এ বাজেট কোনো কাজে আসবে না। এ বাজেটে গরিব আরো গরিব হবে আর কিছু মানুষ আরো বড় লোক হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) খুলনা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, এটি বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় একটি উচ্চাভিলাষী বাজেট। এটি অভিশপ্ত বাজেট। এ বাজেটে বড় লোকের সুযোগ-সুবিধা আরো প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের কোনো স্বার্থের কথা বলা হয়নি। খেটে খাওয়া মানুষের কোনো উপকারে আসবে না। কোনোভাবেই এটাকে গণমুখী বাজেট বলা যাবে না।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, উন্নয়নমূখী, ব্যবসাবান্ধব ও সময় উপযোগী বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার এ বাজেটে উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ খাতে অধিক বরাদ্দ এবং দেশীয় ইলেকট্রনিক্স কাঁচামাল, লোহা, ইস্পাত, নির্মাণ খাতের মালামাল, ক্যান্সারের ওষুধ, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার এবং দেশের পোল্ট্রি খাতসহ শিশু খাদ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট ঘোষণা করায় এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসার এবং উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট হার কমানোর ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে মূলধন আহরণের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে পারবে।
ভিন্ন মত প্রকাশ করে খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তুজা বলেন, এটা একটি ঘাটতি বাজেট। বাজেটের আকার বড় হলে যে ভালো হয়, তার কোনো কথা নেই।
তিনি আরো বলেন, এটা একটি উচ্চাভিলাষী নির্বাচনমুখী বাজেট। গত কয়েক বছর ধরে সরকার এ ধরনের বাজেট দিচ্ছে। নির্বাচনের বছর একটা ফাঁকা বুলি আওড়ানোর জন্য একটি বড় বাজেট দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/