রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এই বাজেট ঘোষণা করেন।
বাজেটে প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ৫৯ হাজার ৪১১ টাকা।
উন্নয়ন খাতের মধ্যে অবকাঠামোখাতে সরকার প্রদত্ত দেওয়া উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরি হিসেবে ২১০ কোটি টাকা, সরকার প্রদত্ত বিশেষ সহায়তাখাতে ২০০ কোটি টাকা, ডিপিপি-জিওবি খাতে ২১০ কোটি টাকা, এমজিএসপি-২ খাতে ৫০ কোটি টাকা, কাউন্সিলর অফিস নির্মাণ বাবদ ১৫ কোটি টাকা, সিজিপি জাইকার খাতে ১৫০ কোটি টাকা, শ্যামাসুন্দরী খাল উন্নয়নে ৬০০ কোটি টাকা, কেডি ক্যানেল উন্নয়নে ৪০০ কোটি টাকা, সোলার লাইট/জলবায়ু উন্নয়ন প্রকল্প/ইউনিসেফ প্রকল্পের খাতে ৪০ কোটি টাকা, বিদেশি সাহায্যপুষ্ট অন্যান্য প্রকল্প খাতে ১৩০ কোটি টাকা এবং মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেট বিষয়ক বক্তব্যে মেয়র বলেন, বিগত মেয়রের আমলে অবকাঠামো উন্নয়নে ঠিকাদারদের প্রকল্পের জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন ব্যাংক গ্যারান্টির কারণে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে পারছি না। অনেকেই অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজ না করে চলে গেছে। কাজ শুরু করলেও শেষ করছে না। ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখা হয়েছে। এরমধ্যে এক কোটি টাকা কিছুদিন আগে আমরা পরিশোধ করেছি। সবমিলিয়ে একটি ভঙ্গুর সিটি করপোরেশন পেয়েছি আমি। সবকিছুকে ঠিকঠাক করে একটি মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে বাস্তবসম্মত পরিকল্পিত নগর প্রতিষ্ঠা করতে আমরা কাজ করছি।
এসময় রসিকের প্রধান নির্বাহী আখতার হোসেন আজাদ, কাউন্সিলররা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এনএইচটি