ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদানসহ ৩৫ কোটি ডলার দেবে এডিবি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদানসহ ৩৫ কোটি ডলার দেবে এডিবি  সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা (ফাইল ছবি)

ঢাকা: জোরপূর্বক মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ কোটি ডলার অনুদানসহ ৩৫ দশমিক ০৪ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে। এছাড়া ২ দশমিক ৫৪ কোটি ডলার অনুদান দেবে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য। বাকি ২২ দশমিক ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এডিবি।

বৃহস্পতিবার ( ৯ আগস্ট) নগরীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মোট তিনটি চুক্তি সই হয়েছে। এরমধ্যে একটি ঋণ বাকি দু’টি অনুদান।

 বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম ও  এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন।

রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য ২০ কোটি ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো এডিবি। প্রাথমকিভাবে প্রথম ধাপে ১০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও ১০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। এডিবির অনুদানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, সুপেয় পানি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামো নির্মাণে এই অনুদান ব্যয় হবে।  

সাইক্লোন সেন্টার ও দুর্যোগ মুহূর্তে জরুরি বহির্গমন নির্মাণেও এই অনুদান ব্যবহার করা হবে।

এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, আমরা সত্যিই আনন্দিত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের জন্য এই অনুদান দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে ছোট ছোট কিছু প্রকল্পও বাস্তবায়ন করছি।

‘এডিবি’র ইমারজেন্সি অ্যাসিসটেন্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে। চলতি সময় থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় কম্পোনেন্টগুলো হচ্ছে-রাস্তার উন্নয়ন, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও রান্নার জন্য জ্বালানি সরবরাহ এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানো।

সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইএসআইপি) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২২ দশমিক ৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এডিবি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার উন্নয়নে এই ঋণ ব্যবহার করা হবে। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় কেনাকাটায় ই-প্রকিউরমেন্ট পুরোপুরি চালু করা এবং কয়েকটি নির্দিষ্ট জেলায় শিক্ষা কার্যালয়ের নির্মাণকাজও করা হবে তৃতীয় কিস্তির এই অর্থে।

সুপার অফ-গ্রিড সোলার ফটোভোল্টাইক (এসপিভি) পাম্পিংয়ে ২ দশমিক ৫৪ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে এডিবি। অনুদানের আওতায় ডিজেল পাম্পের স্থলে এসপিভি পাম্প স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের পল্লি এলাকার দরিদ্র চাষিদের জন্য সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য উচ্চ মূল্যের ডিজেল খরচ সক্ষমতার মধ্যে পড়ে না এবং টেকসইও নয়। পল্লির যেসব এলাকায় গ্রিড বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত নয়, সেখানে সেচকাজে বিকল্প হিসেবে সোলার প্যানেল ব্যবহার হয়। প্রকল্পটি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করবে। সেচ কাজ এবং অন্য কৃষিকাজে ডিজেলের ব্যবহার হ্রাস করবে বলে জানায় এডিবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এমআইএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।