উপস্থিত থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ এনবিআর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এনবিআর’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
মেলার মাধ্যমে করের আওতা বাড়বে বলে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ২০ লাখ। আগামী ২ বছরে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫ লাখ করা হবে। পাশাপাশি ই-টিআইএনধারী সংখ্যা ৩৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখে উন্নীত করা হবে।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে এ মেলা চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। জেলা শহরগুলোতে চারদিন এবং উপজেলাগুলো দু’দিন এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় করদাতা, সম্ভাব্য করদাতা ও ভবিষ্যতের করদাতাদের জন্য ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা, রিটার্ন গ্রহণ, কর পরিশোধ এবং কর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আয়কর সম্পর্কে ভীতি দূর, কর সচেতনতা বৃদ্ধি ও আরো নিবিড় করসেবা প্রদানের জন্য এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
এবারের মেলার ব্যয় ২২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলা শুরু হয়। প্রথমবার ৬০ হাজার ৫১২ জন সেবা নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আয়কর সেবা নিয়েছেন ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৬৯ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস