শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সামিট ২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ চুরি হয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে।
জনকল্যাণে কাজ করার বাধা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা গ্যাপ আছে, গ্রামে যাবে না, অথচ সেখানে চাকরি আছে। অনেকে আছে গ্রামে কাজ করবে না। আবার কিছু তরুণ-তরুণী আছে তারা পুবে-পশ্চিমে পালাতে চায়। পালানো কথাটি ঠিক নয়, তারা বিদেশে যেতে চায়। তরুণদের ব্যথা আছে, এটা আমরা বুঝি। তারা বাংলাদেশে যথেষ্ট জায়গা পাচ্ছে না। বিদেশে গেলে তারা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এটা মনে করেন।
বিদেশে চলে যেতে ইচ্ছুক তারুণ্যকে আশাবাদ শুনিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, শিল্পায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন দেশেই প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশ থাকলে তরুণদের বিদেশে যাওয়া লাগবে না, দেশেই তারা নানা সুবিধা পাবেন।
গ্রামীণ জনপদে অর্থপ্রবাহ বাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আছে। এটাকে মোকাবেলা করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে গ্রামে টাকার সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ব্যাংককে বলছি গ্রামে শাখা খুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদির, ইউল্যাবের প্রফেসর ইমরান রহমান, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের পরিচালক রেবেকা রোজ, ব্যাংক এশিয়ার এমডি আরফান আলী, আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘মাইক্রোসেভ’র বাভানা সিরিবাস্তভা, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের এমডি ও সিইও ফারজানা চৌধুরী, সুইস কনট্রাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অর্নিবাণ ভৌমিক প্রসুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/