তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়া পূরণ করার সময় এসেছে। যদি ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারেন সেই ব্যর্থতা তাদের।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে পোশাক শিল্প পরিবার থেকে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, দেশ আজকের অবস্থায় আসবে এটা ১০ বছর আগে আমার বিশ্বাস হতো না। আমি ধরে নিয়েছিলাম এটা হতে পারে না কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পেরেছেন। এই অবস্থায় যাওয়ার মূল চালিকা শক্তি ছিলো বেসরকারিখাত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন চাচ্ছেন পরবর্তী অবস্থায় যেতে, যেটা কঠিন ও কষ্টের। এই অবস্থায় যেতে তিনি তার মন্ত্রিপরিষদ সাজিয়েছেন ব্যবসায়ী দিয়ে। এজন্য তিনি ব্যবসায়ীমহলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। একে একে অর্থ, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, বস্ত্র, এলজিআরডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের বসিয়েছেন। এখন সময় এসেছে ব্যবসায়ীদের দাবি-চাহিদা পূরণের। এতগুলো মন্ত্রী পাওয়ার পরও যদি ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি আদায় করতে না পারেন— এ ব্যর্থতা ব্যবসায়ীদের।
সালমাল এফ রহমান বলেন, আমরা এখন ডুয়িং বিজনেস ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়ে কাজ করছি। এ দুটোর সমাধান হলে ব্যবসায়ীদের ৯০ শতাংশ দাবি পূরণ হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এসব কাজের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটা সমাধান আসবে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন গার্মেন্টস ব্যবসা করে টাকা বানানো যায়, তারা অনেক সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু এটা বোঝাতে পারছি না যে, বন্ড সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা তারা পায় না। তবে সত্যিকার অর্থে গামেন্টসকে আরো সুবিধা দেওয়া হলে দু-তিন বছরের মধ্যে এ খাত ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, মো. আতিকুল ইসলামসহ বিজিএমইএর পরিচালক ও সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
ইএআর/এমজেএফ