তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি, মাছ, ডাল, ডিম, চিনি, আটা, গুড়া দুধসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম। আর বাজারে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাসাবো কাঁচাবাজার, দয়াগঞ্জ, ধূপখোলা মাঠ, ঠাটারি বাজারসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। কক (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা পিস। মাঝারি আকারের ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, আর বড় আকারের বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। তবে কমেনি দেশি মুরগির দাম। গত সপ্তাহের দামেই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ, আদা ও রসুন। কেজি প্রতি দেশি পিঁয়াজ ২৫ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ ২২ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। রসুন ১০০ টাকা, আদা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুরগি ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, গত এক মাস ধরে মুরগির দাম বেশি ছিল। আজকের বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। কারণ তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়েছে। তাই বাজারে গ্রাহক কম থাকায় চাহিদা কিছুটা কমেছে। তবে সরবরাহ ভালো।
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অপরির্বতিত রয়েছে সবজির দাম। লাউ পিস মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিস, শালগম ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি, মূলা ১০ থেকে ২০ টাকা, পাকা টমেটো ১৫ থেকে ৩০ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগাম সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা ১২০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা আঁটি।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে প্রচুর সবজি আছে। ফলে কোনোটার দাম বাড়েনি বা কমেনি। তবে আর ১০ দিন পরই শীতের সবজি শেষ হয়ে যাবে। তখন আবার সবজির দাম বাড়বে বলে জানান তারা।
বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবধরনের মাছ। প্রতি কেজি রুই আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা ৭০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, খল্লা ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ছোট আকারের এক হালি ইলিশের দাম ৮০০ থেকে এক হাজার, মাঝারি আকারের ১৫শ’ থেকে আড়াই হাজার, এক কেজি ওজনের এক হালি ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে মুরগির মাংসের দাম কমলেও ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের চাল। তবে মোটা চালের দাম কেজিতে ১ টাকা কমেছে। নাজির ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মুদি পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি আমদানিকৃত ৫০, দেশি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৮৫, মুগ ১১০, মটর ৬০, ছোলা ৮০, ডাবলি ৪২ টাকা, ৪০ থেকে ৯০, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, সুপার ৬২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ব্র্যান্ডভেদে ৫ লিটারের তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকায়। সরিষার তেল প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। প্যাকেট দুধ ৩৬০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস