নানা কারণে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কয়েকটি ব্যাংক। ঘাটতিতে থাকা ১০টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি সরকারি ও ৪ টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে মূলধন ঘাটতির এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আননটেক্স ও ক্রিসেন্ট লেদারের ঋণ জালিয়াতির কারণে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জনতা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। আগের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা এই ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ছিল মাত্র ১৬১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেডের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকটির ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। পরের অবস্থানে থাকা জনতা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৫ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ঘাটতি রয়েছে ৫ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ৮৮৩ কোটি টাকা। আর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের ৭১২ কোটি টাকা।
বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের মূলধন ঘাটতি ১ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ৩৮৪ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক লিমিটেডের ১০০ কোটি টাকা ও বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মূলধন ঘাটতি ৪০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেডের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৬৭০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কমেছে ৭৭ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের কমেছে ৭৩৮ কোটি টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের কমেছে ১০১ কোটি টাকা।
এদিকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ৬৩৮ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি থাকলেও গতবছরের ডিসেম্বর শেষে এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংকটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এসই/এমএ