দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় ওয়ালটন এসি কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন পুরো ১ বছরের বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। মার্চের ১ তারিখ থেকে এ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
এছাড়া চলছে এক্সচেঞ্জ অফার। যার আওতায় যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে ওয়ালটনের নতুন এসিতে পাবেন ২৫ শতাংশ নিশ্চিত ছাড়। ইতোমধ্যে অসংখ্য ক্রেতা বদলে নিয়েছেন পুরনো এসি। এছাড়া ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়ালটন এসি কিনে ১ বছরের বিদ্যুৎ বিলের সমপরিমাণ টাকা ফ্রি পেয়েছেন শতাধিক ভাগ্যবান ক্রেতা। এসব সুবিধার পাশাপাশি সব ক্রেতা পাচ্ছেন ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, ওয়ালটন এসির পাওয়ার কনজিউম রেট অনুসারে বিদ্যুৎ বিলের খরচ হিসাব করা হয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, একজন গ্রাহক যদি দৈনিক সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা করে এসি চালু রাখে, তাহলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওয়ালটনের ১ টন এসিতে বছরে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় ১২ হাজার টাকা। ১ দশমিক ৫ টন ও ২ টনের এসিতে বছরে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ হবে যথাক্রমে ১৫ হাজার এবং ১৮ হাজার টাকা। এ হিসাবের চেয়েও বাড়তি টাকা দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের। ওয়ালটনের ১ টনের এসি কিনে ১ বছরের বিদ্যুৎ বিলবাবদ ক্রেতারা পাচ্ছেন ১৪ হাজার ৪০০ টাকা। আর ১ দশমিক ৫ টনের এসি কিনলে ক্রেতাকে ১৮ হাজার টাকা ও ২ টনের এসি কিনলে ২১ হাজার ৬০০ টাকা ফ্রি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এর পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শো-রুম থেকে এসি কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি।
এদিকে, ‘এসি এক্সচেঞ্জ’ অফারের আওতায় ওয়ালটন প্লাজা ও শো-রুমে যেকোনো ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত পুরাতন এসি জমা দিয়ে ক্রেতারা ওয়ালটনের নতুন এসি কিনতে পারছেন। এক্ষেত্রে পুরনো এসি জমা দিলে গ্রাহক তার পছন্দ মতো নতুন ওয়ালটন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের পণ্য দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকবান্ধব সেবা দিতেও ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের জন্য ইনর্ভাটার এসির কম্প্রেসারে গ্যারান্টির সময় আরও ২ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। রয়েছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ও ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধাও। ওয়ালটন এসির এসব সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সূত্র মতে, এ বছর স্থানীয় বাজারে লেটেস্ট প্রযুক্তির ১ টন, ১ দশমিক ৫ টন ও ২ টনের মোট ১৫ মডেলের স্প্লিট এসি ছেড়েছে ওয়ালটন। এসব এসির দাম ৩৫ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে। স্প্লিট এসির পাশাপাশি ৪ ও ৫ টনের সিলিং ও ক্যাসেট টাইপ এসিও উৎপাদন করছে ওয়ালটন। এরমধ্যে ৬০ হাজার বিটিইউ সম্পন্ন ওয়ালটনের ক্যাসেট টাইপ এসির দাম পড়ছে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আর ৪৮ হাজার বিটিইউর সিলিং টাইপ এসির দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
ওয়ালটন এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, গ্রাহকদের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় স্প্লিট এসির ভেনচুরি ও রিভারাইন সিরিজে ১ দশমিক ৫ ও ২ টনের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির নতুন মডেলের স্মার্ট এসি ছাড়া হয়েছে। এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কতো? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসর কি ওভারলোডে চলছে? স্মার্ট এসিতে মিলবে এসবের উত্তর।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো আইওটি বেইজড স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে। যা ভয়েস কমান্ড ও স্মার্টফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। অর্থাৎ ‘ভয়েস কন্ট্রোল’ বা ‘অ্যামাজন ইকো’র মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই স্মার্ট এসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানো, কমানো, চালু বা বন্ধ করা যাবে।
ওয়ালটনের এসিতে সংযোজন করা হয়েছে আয়োনাইজার প্রযুক্তি। যা রুমকে ঠাণ্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করবে। এছাড়াও কম্প্রেসারের অ্যাকুইরেসি এবং কুলিং সিস্টেমে এনেছেন বেশি পারফেকশন। কম্প্রেসারে বিল্ট-ইন অটোমেটিক ভোল্টেজ প্রোটেকশন সিস্টেম থাকায় বিদ্যুৎ প্রবাহের বিচ্যুতি বা তারতম্যে ওয়ালটন কম্প্রেসারের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় তৈরি হচ্ছে ১৭ থেকে ২৫ টনের সিঙ্গেল মডিউলার ভিআরএফ এসি। মাঝারি স্থাপনায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হবে এসব এসি। একইসময়ে পুরো ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এ প্রযুক্তি। অর্থাৎ একটি ভবনের ইনডোর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটগুলোকে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কমফোর্ট কুলিং এবং ডুয়াল সেন্সিং সিস্টেম। ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী ঠাণ্ডা ও গরম বাতাস পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারকারীর সুবিধা মতো ঘরের যেকোনো স্থানে স্বল্প পরিসরে স্থাপন করা যাবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়ের পর বাজারজাত করা হয়। ফলে স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে এখন ওয়ালটন এসি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন এসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
আরবি/