ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রথমবারের মতো ওয়াও ঢাকা ফেস্টিভ্যাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
প্রথমবারের মতো ওয়াও ঢাকা ফেস্টিভ্যাল সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকাস্থ ব্রিটিশ কাউন্সিল ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়াও ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘ওয়াও ঢাকা ২০১৯ ফেস্টিভ্যাল’। সাউথ ব্যাংকের সহযোগিতায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো ৫ ও ৬ এপ্রিল চলবে এ ফেস্টিভ্যাল।

সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এসময় প্যানেল আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রিউ নিউটন, হেড অব আর্টস নাহিন ইদ্রিস, মঙ্গলদীপের প্রতিষ্ঠাতা এবং ওয়াও ঢাকা ফেস্টিভ্যালের কিউরেটর সারা জাকের এবং বহ্নিশিখার প্রতিষ্ঠাতা তাশাফি হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারী ও কিশোরীদের সফলতা ও অর্জনগুলো উদযাপন এবং বিশ্বজুড়ে তারা যে ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয় তার ওপর আলোকপাত করেই অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যাল। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে উৎসাহ ও সহযোগিতা দেওয়াই এ আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য।  

অ্যান্ড্রিউ নিউটন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আর্টস প্রোগ্রাম পোর্টফোলিওর অধীনে নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়নে আমাদের কাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে ওয়াও ফেস্টিভ্যাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু একটা ফেস্টিভ্যাল নয় বরং একটা আন্দোলন। ওয়াও গ্লোবাল প্রেক্ষাপট থেকে আমরা যা পেয়েছি সেগুলো বাংলাদেশে আমরা দেখাতে চাই। বাংলাদেশের মেধাবী নারীদের প্রতিভাগুলো এখানে উঠে আসবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৫ নম্বর লক্ষ্য ‘লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন’ নিশ্চিতে সহায়তা করা এবং নারীদের সফলতা উদযাপন করা এ ধরনের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। সেইসঙ্গে এখনকার নারীরা কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন সেটিও আমরা তুলে ধরতে চাই। নারীরাই সেগুলো তুলে ধরবেন।

নাহিন ইদ্রিস বলেন, ওয়াও ঢাকার অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশা এ শহরে যারা বাস করেন এবং কাজ করেন তাদের ওপর গুরুত্বারোপ করা। পাশাপাশি দর্শনার্থী বক্তা, প্যানেল আলোচক ও নারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করা হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে নারী ও কিশোরীদের অর্জনগুলো উদযাপনের মাধ্যমে সেগুলো সব মানুষের কাছে পৌঁছানো। এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের নারী নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করা।

এ ফেস্টিভ্যালে ৯ জন কিউরেটর থাকবেন। তাদের মধ্যে থেকে সারা যাকের বলেন, বিভিন্ন খাতের প্রথিতযশা মানুষদের এ ফেস্টিভ্যালে আমরা নিয়ে আসছি। খুব সচেতন এবং সতর্কভাবে তাদের আমরা নির্বাচন করেছি। এছাড়া কিউরেটর হিসেবে আমি এ আয়োজনে অনুর্ধ্ব ১০ বছর বয়সের শিশুদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করবো। যেখানে তাদের নারীবাদ বিষয়ে বোঝানো হবে। পাশাপাশি এ আয়োজনে আমরা শুধু নারীদেরই না বরং পুরুষদের সম্পৃক্ত করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ফেস্টিভালে জেন্ডার বিষয় নিয়ে তথ্য, নারী উদ্যোক্তাদের কাজের প্রদর্শনী, তাদের পণ্য বিক্রির জন্য নির্বাচিত স্টল, দর্শকদের জন্য চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পারফর্মিং আর্টস এবং পূর্ণাঙ্গ থিয়েটার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলের মানবসম্পদ বিভাগের আয়োজনে একটি ক্যারিয়ার সেশন থাকবে। এখানে আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠিত নারীদের সঙ্গে সরাসরি মতামত বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।  

এ ফেস্টিভ্যাল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে অংশগ্রহণের আগে বিনামূল্যের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।