৯ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা ৭২ ঘণ্টার মিল ধর্মঘটের পাশাপাশি চার ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার এ ধর্মঘট শুরু হয়।
শ্রমিকরা নতুন রাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক, নতুন রাস্তা মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সড়ক, বিআইডিসি সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন। এছাড়া তারা বিক্ষোভ মিছিল, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ করছেন।
মঙ্গলবার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হওয়ার আগে প্রতিদিন ৯টি পাটকলে উৎপাদন হতো প্রায় ১০০ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্দোলনের তিনদিনে ৩০০ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য উৎপাদন হয়নি। যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা বাংলানিউজকে জানান, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের রোয়েদাদ ২০১৫ কার্যকর, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ, চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের পুনর্বহাল, সব মিলে সেটআপের অনুকুলে শ্রমিক-কর্মচারীদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ ও স্থায়ীসহ ৯ দফা দাবিতে লাল পতাকা মিছিল, ৭২ ঘণ্টা অবরোধসহ চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে পাটকল শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালিশপুরের ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা শিল্প এলাকার আলীম, ইস্টার্ন ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার জেজেআই, কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট বৃহস্পতিবার শেষ হবে। এরপর ৭ এপ্রিল (রোববার) ঢাকায় বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সবগুলো পাটকলের শ্রমিক নেতারা বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমআরএম/এএটি