রুপালি ইলিশের দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, এখন ইলিশের মৌসুম না হওয়ায় সব ধরনের ইলিশের দাম বেড়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ৫শ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ হাজার ২শ থেকে ৭ হাজার ৫শ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এ সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৫শ থেকে চার হাজার টাকায়। জানান এক বিক্রেতা। এক কেজি বা এককেজি ৩শ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ২৮শ থেকে ৩ হাজারট ৫শ টাকায় টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। যেগুলো এক সপ্তাহ আগে দেড় হাজার থেকে থেকে ২২শ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ বাজারে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিহালি ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫শ টাকা, ৭শ গ্রাম সাইজের ইলিশের হালি ২৬শ থেকে ২৮শ টাকা, ৫শ গ্রাম সাইজের ইলিশের হালি ২ হাজার থেকে ২২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি মাছ বিক্রেতা মুসলিম ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম না হওয়ায় ইলিশ ধরা পড়ছে কম। তাছাড়া বৈশাখ আসায় জেলেরাও বেশি দাম চাইছে। আবার বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবছরই ইলিশের বাড়তি চাহিদা থাকে। এ হিসেবে ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এ মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে একমত নন এ বাজারের মাছ ক্রেতা নাহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রতিবছরি বৈশাখের আগেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা মাছের দাম বাড়িয়ে দেন। এজন্য এ সময়টা বাজার তদারকি বাড়ানো দরকার।
আহমেদ জামান নামে অপর ক্রেতা বলেন, ইলিশের দাম বাড়ার জন্য বিক্রেতাদের চেয়ে ক্রেতারাই বেশি দায়ী। সামাজিক মাধ্যমে বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার জন্য বলা হলেও ক্রেতারা বৈশাখের আগেই বাজারে ভিড় করছেন। তাদের ভিড়ের কারণে বিক্রেতারা এ সুযোগ নিচ্ছেন। ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
ইলিশের পাশাপাশি বেড়েছে মাংস ও অন্য সাদা মাছের দাম। এ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০, ছাগীর মাংস ৭২০ টাকা কেজি দরে। আর ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। আর কক মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২শ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১শ ৬০ থেকে ২শ টাকা কেজি, রুই ২শ ৫০ টাকা থেকে ৩শ ৫০ টাকা, মৃগেল ১৭০ টাকা থেকে ৩শ টাকা, পাবদা ৩শ ৫০ থেকে ৫শ ৫০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৪শ ৫০ থেকে ৬শ টাকা, শিং ৩শ থেকে ৬শ টাকা কেজি, বোয়াল ৪শ থেকে ৭শ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি ৪শ থেকে ৫শ৫০ টাকা, হরিনা চিংড়ি ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
ইএআর/এএ