তিনি বলেন, আগামী ১২ এপ্রিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রী মি. লোতে শেরিং-এর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকায় এক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হবেন। এফবিসিসিআই ও ভুটান ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে।
রোববার (৭ এপ্রিল) এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনাম তোবদেন রাবগের মধ্যে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ এবং পরিচালক মি. সুজিব রঞ্জন দাস সভায় উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআই মহাসচিব হোসাইন জামিলও আলোচনায় অংশ নেন।
এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম জানান, ১২ এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠেয় সভায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন। বাংলাদেশের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ভুটান প্রতিনিধিদলে নির্মাণখাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য এবং পর্যটন ও সেবা খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
বৈঠকে ভুটান রাষ্ট্রদূত বলেন, বন্ধুপ্রতিম এ দেশ দু’টির মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পারস্পরিক নিবিড় যোগাযোগ ও কার্যকর আলোচনার মাধ্যমে এ সম্পর্ক উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভুটানে রপ্তানি করে এবং ভুটান থেকে ১৮ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে কৃষিপণ্য, আকরিক, স্ল্যাগ ও ছাই, ওভেন গার্মেন্টস, প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী এবং ওষুধ পণ্য। আর ভুটান থেকে মূলত খনিজ পণ্য, সবজি, আয়রন ও স্টিল এবং টেক্সটাইল সামগ্রী আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
জিসিজি/এএ