তিনি বলেন, যুব শক্তিই জাতির প্রাণ শক্তি। যুবরাই হচ্ছে কর্মের হাতিয়ার।
রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পিকেএসএফ আয়োজিত যুব সম্মেলন-২০১৯ এর সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যুবদের জাগরণ ও উন্নয়নের জন্য কাজের সুযোগ দিতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুবদের কর্মমুখী করার দায়িত্ব আমাদের সবার। কর্মক্ষম যুব জনগোষ্ঠী বেশি থাকলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল থাকে, যাকে বলা হয় জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড)। যুবদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী। এজন্য সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা উভয় খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুবরা লড়বে ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশের জন্য। বর্তমান সরকার স্বনির্ভর প্রত্যয়ে, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মনস্ক প্রজন্ম সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের কর্মসংস্থনের জন্য নতুন নতুন চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সরকারের লক্ষ্য। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একটি যুগোপযোগী জাতীয় যুবনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০০৩ সালের যুবনীতি পরিবর্তন করে বর্তমান সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে একটি জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ সালে গ্রহণ করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে অনেক সম্ভাবনা বা সুযোগও রয়েছে। কারণ আমাদের রয়েছে মূল্যবান মানব সম্পদ। মানব সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে কর্মঠ, সৃজনশীল, সক্রিয় এবং মূল্যবান অংশই হলো যুব সম্পদ। বাংলাদেশ এখন মানব সম্পদের শ্রেষ্ঠ এ অংশের সোনালি সময় পার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/