রোববার (০৭ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এমসিসিআই’র পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটি বলেছে, বর্তমানে ব্যক্তিগত করদাতার জন্য আয়কর সর্বোচ্চ হার হচ্ছে ৩০ শতাংশ। চেম্বার বরাবর কর হ্রাসের দাবি করে আসছে, কিন্তু রাজস্ব বোর্ড তার পরিবর্তে ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করেছে। চেম্বার অনুভব করে যে, এই সর্বোচ্চ হারের সামান্য হ্রাস ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকার আয় প্রকাশের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে এবং কর ফাঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই কোনোভাবেই তা ২৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে হওয়া উচিত হবে না।
এমসিসিআই’র লিখিত প্রস্তাবে সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আয়কর অধ্যাদেশ ৩০(জ) ধারাটি রয়্যালটি, কারিগরি সেবা ফি, কারিগরি জ্ঞান ফি বা কারিগরি সহায়তা ফি খাতে কর্তনের অনুদানযোগ্য সীমা হিসেবে হিসাব বিবরণীতে প্রকাশিত নিট লাভের ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নির্দেশিকা ও বিআইডিএ’র পূর্বানুমোদিত ব্যতিত উপরোক্ত খাতের অধীনে ৬ শতাংশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স টার্নওভার অনুমোদন করে। এই বিষয়টি বিশেষ বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া এমসিসিআই প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট কর হার কমানোর দাবিও করেছে। তাদের প্রস্তাবে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে এমসিসিআই।
অনুষ্ঠানে এমসিসিআই’র পক্ষে সভাপতির বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি গোলাম মইনুদ্দিন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া যৌক্তিক প্রস্তাবগুলো বিবেচনার করবেন বলে আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস