সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আতিউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ ছিলো কৃষক বা কৃষকের সন্তান।
শিল্প ক্ষেত্রে কৃষির অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের কৃষি ভালো করলে, শিল্পও ভালো করে। অনেক শিল্পের কাঁচামাল কৃষিপণ্য থেকে আসে। শিল্প শ্রমিকরা তাদের খাবার কম দামে কিনতে পারেন।
আতিউর রহমান বলেন, কৃষক যদি কৃষি কাজ না করতেন, তারা যদি আমাদের জন্য খাদ্য উৎপাদন না করতেন, তাহলে দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এতো দ্রুত বাড়তো না। খাদ্য আমদানি করতেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতো। সুতরাং কৃষকরাই আমাদের জাতীয় বীর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর বলেন, দেশের দারিদ্র নিরসনে কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। কৃষি অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় তিনগুণ বেশি দারিদ্র নিরসন করে। আমাদের দেশের কৃষকরা অনেক পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান। তাদের সন্মান করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য।
‘কৃষক দেশ বাঁচায়, কৃষককে বাঁচতে দিন’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পংকজ ভট্টাচার্য, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক মতিউর রহমান। সভা পরিচালনা করেন কৃষক আব্দুল জলিল কিতাব মণ্ডল।
সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষক প্রতিনিধিরা তাদের দুঃখ-কষ্ট, দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/