ওয়ালটন প্লাজা ও শোরুমে পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি কেনা যাবে। পুরনো এসি জমা দিলে গ্রাহক তার পছন্দকৃত নতুন ওয়ালটন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন।
এর আগে এই অফারটি ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সে সময় বিপুল সংখ্যক ক্রেতা বদলে নিয়েছেন পুরনো এসি।
এছাড়া ওয়ালটন এসির সকল ক্রেতাই পাচ্ছেন ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা।
এর পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন চার এর আওতায় গত মার্চের ১ তারিখ থেকে ওয়ালটন এসি কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন পুরো এক বছরের বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
এদিকে এ ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম থেকে এসি কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, একজন গ্রাহক যদি দৈনিক সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টা করে এসি চালু রাখেন, তাহলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওয়ালটনের এক টন এসিতে বাৎসরিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে প্রায় ১২ হাজার টাকা। দেড় টন ও দুই টনের এসিতে বাৎসরিক বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ হতে পারে যথাক্রমে ১৫ হাজার এবং ১৮ হাজার টাকা।
এ হিসাবের চেয়েও বাড়তি অর্থ দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের। ওয়ালটনের এক টনের এসি কিনে এক বছরের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ক্রেতারা পেতে পারেন ১৪ হাজার ৪০০ টাকা। আর দেড় টনের এসি কিনলে ভাগ্যবান ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা ও দুই টনের এসি কিনলে ২১ হাজার ৬০০ টাকা।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ওয়ালটন এসি কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পুরো এক বছরের বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফ্রি পেয়েছেন শতাধিক ক্রেতা।
এক্সচেঞ্জ অফারের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, দেশে তৈরি বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য ও সর্বোত্তম সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন বদ্ধ পরিকর। এসি এক্সচেঞ্জ অফার ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- গ্রাহকরা যেন সহজেই দেশে তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওয়ালটন এসির সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্রমতে, ইনর্ভাটার এসির কম্প্রেসরে গ্যারান্টির সময় আরও দুই বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে ওয়ালটন। রয়েছে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ আছে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধাও। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস সিস্টেমের আওতায় দেশব্যাপী ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় তৈরি হচ্ছে ১৭ থেকে ২৫ টনের সিঙ্গেল মডিউলার ভিআরএফ এসি। মাঝারি স্থাপনায় কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হবে এসব এসি। একই সময়ে পুরো ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এ প্রযুক্তি। অর্থাৎ একটি ভবনের ইনডোর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটগুলোকে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে কমফোর্ট কুলিং এবং ডুয়াল সেন্সিং সিস্টেম। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা ও গরম বাতাস পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারকারীর সুবিধামতো ঘরের যেকোনো স্থানে স্বল্প পরিসরে স্থাপন করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
আরআইএস/