বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন অর্থমন্ত্রী। বৈঠক শেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো থেকে এনজিও বা ক্ষুদ্রঋণের প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ শতাংশ হারে ঋণের নেয়, কিন্তু কৃষক পর্যায়ে তারা ২৫ শতাংশ সুদে এ ঋণ বিতরণ করে। আমরা ভালো ঋণ গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেব। তবে খারাপ গ্রাহকদের নয়।
ঋণে সুদহার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাটের বহু স্তর আইএমএফ মেনে নিয়েছে। তিন স্তরে ভ্যাট নেওয়া হবে- ৫, সাড়ে ৭ ও ১০ শতাংশ হারে। ভোগ্য পণ্যে কোনো ভাবেই ১০ শতাংশের উপরে ভ্যাট নেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যাংকিংখাতে আইএমএফ ঝুঁকি কমাতে কাজ করবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকিংখাতে কিছু সমস্যা রয়েছে এটা দূর করতে আইএমএফ টিম পাঠাবে। তারা সফলভাবে বাংলাদেশে কাজ করবে। আইএমএফ’র সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংক খাত অটোমেশন করা হবে। এটা করতে পারলেই অনেক অপরাধ কমে যাবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা শক্তিশালীভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করি। কিন্তু বিশ্বব্যাংক সব তথ্য না নিয়ে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে থাকে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমাদের প্রাক্কলন সব সময় সঠিক। বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে তথ্য নিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করে। তারা সব সময় কম দেখায়। তারা যদি ৭ দশমিক ৩ বলে তাহলে ধরে নেব আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এমআইএস/এসএইচ