মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফারস হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ)।
সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীরা জ্ঞানভিত্তিক রিস্ক নিলে নিজের লাভ, পুঁজিবাজারের লাভ, সরকারেরও লাভ।
তিনি বলেন, ভালো ব্যালেন্স শিটের জন্য যারা অডিট করেন তাদের দায়বদ্ধতা আছে। তবে যারা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন তাদেরও সতর্ক হতে হবে। লেনদেনকারীরা সচেতন হলে হয়তো আর কারসাজি থাকবে না।
এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সবাই আর্থিক হিসাব বুঝতে চান না। অথচ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য এ জাতীয় মৌলিক জ্ঞানের দরকার আছে।
কর্মশালায় ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. আবুল হাশেম বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যালেন্স শিট বুঝতে হবে। একটি ব্যালেন্স শিট কোম্পানির ইনডেক্স। যেসব নিরীক্ষক নিয়ম মানেন না, আশা করি, এফআরসি তাদের সঠিক রাস্তায় আনতে পারবে।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে তথ্য সরবরাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জিত হয়। এফআরসির নজরদারির মাধ্যমে সে তথ্য সঠিক ও সুন্দরভাবে প্রকাশিত হবে বলে আশা করেন তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এই মুহূর্তে বাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা সৎ ও শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট। এ কারণেই দুর্বল কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হচ্ছে। ব্যালেন্স শিট ঠিক থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সিএমজেএফ’র সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির অতিরঞ্জিত আর্থিক হিসাব নিয়ে বিএসইসি’কে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখেছি। সব কোম্পানির আর্থিক হিসাব যাচাই করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে নিরীক্ষার মান উন্নয়নে এফআরসি হয়েছে। আশা করি, এর মাধ্যমে ওই সমস্যা কেটে যাবে।
সিএমজেএফ’র সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, এ কর্মশালা আয়োজনে সহযোগিতার জন্য ডিএসই’কে ধন্যবাদ। আগামীতে সিএমজেএফ এ ধরনের আরও কর্মশালা আয়োজন করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফআরসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এসএমএকে/একে