ঈদের আগে ও পরে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির তালিকায় এ তথ্য জানা গেছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন এখন পর্যন্ত তারা ছুটির কোনো নির্দেশনা পাননি।
এদিকে লম্বা ছুটির কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের ব্যস্ততাও বেড়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্থলপথে আমদানির ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানি বেশি হয়। পণ্য খালাসের কাজে বন্দর, কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট ও বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বন্দরে কর্মরত। এছাড়া মোট ২৫ হাজার মানুষ এই বন্দর কেন্দ্রিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর সরকার এ বন্দর থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়।
ঈদে টানা ৯ দিন বন্ধ ও ঈদের আগে তিনদিন মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল না করায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ফলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা আগাম পণ্য খালাস করে রাখছেন।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ঈদে ছুটির আগে ও পরে বন্দরে পণ্য পরিবহনে বিভিন্ন সংকট দেখা যায়। শিল্পকারখানায় উৎপাদন কাজে প্রচুর কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। তাই ঈদের ছুটির প্রভাবে যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়, এজন্য ব্যবসায়ীরা আগাম পণ্য খালাস করে রাখছেন।
সোনালী ব্যাংকের বেনাপোল শাখার ম্যানেজার এআরএম রকিবুল হাসান বলেন, ‘২৭ মে বেনাপোল বন্দরে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ’
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মনির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ঈদের আগে পণ্য খালাসের চাপ বেশি। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল ও খাদ্য সামগ্রী। রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, গার্মেন্টস সামগ্রী ও কেমিক্যালসহ বিভিন্ন পণ্য।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ছয় দিনে ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে এখন পর্যন্ত আমাদের ছুটির কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে ঈদের আগে ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা মে ২৮, ২০১৯
আরএ