ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে একদিনে ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
বেনাপোল বন্দরে একদিনে ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বন্দরে কার্যক্রম চলছে। ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল(যশোর): ঈদুল ফিতরের টানা এক সপ্তাহ ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আবারো কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এতে বেড়েছে পণ্য খালাস। একদিনে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।

সোমবার (১০ জুন)  সকালে বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে পণ্য খালাসে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যস্ততা দেখা যায়।

ব্যবসায়ী ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

বিশেষ করে এ বন্দর থেকে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের আমদানি বেশি। পণ্য খালাসের কাজে বন্দর, কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট ও বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিবছর সরকার এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করে থাকে।  

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে জানান, এবার ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মিলে প্রায় এক সপ্তাহ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্য্ক্রম বন্ধ ছিল। এতে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিতে পারেনি। তাই ঈদের ছুটি শেষে সব ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিচ্ছেন। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল  বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ৬ দিনে ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বাংলানিউজকে জানান, সরকারি ছুটি শেষে অফিস খুলেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা কর্মস্থলে ফিরেছেন। পণ্য খালাসে সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রাজস্ব গ্রহণকারী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার   এআরএম রকিবুল হাসান জানান, ০৯ জুন বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের কোষাগারে ১৮ কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব জমা পড়েছে। যা অনান্য সময়ের চাইতে প্রায় দ্বিগুণ  বলে জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মনির হোসেন মজুমদার বলেন, ঈদ শেষে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের চাপ অনান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। খালাসকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল, ও খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী। রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, গার্মেন্টস সামগ্রী ও ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন পণ্য।

জানা যায়, শবে কদর ও ঈদের ছুটি মিলে  রোববার (০২ জুন) থেকে শুক্রবার (০৭ জুন) পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ ছিল।  ০৮ জুন অফিস খুললেও ঈদের আমেজ না কাটায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মব্যস্ততা কম ছিল। সোমবার (১০ জুন)  থেকে বন্দরে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা ফিরে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।