ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোক্তার পছন্দ ব্র্যান্ডের ফার্নিচার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
ভোক্তার পছন্দ ব্র্যান্ডের ফার্নিচার

ঢাকা: দেশের ফার্নিচার বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ ছোট ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর দখলে থাকলেও ভোক্তাদের চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর আসবাবপত্রেও। এসব কোম্পানি দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশেই আসবাবপত্র রপ্তানি করছে।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পাঁচ দিনব্যাপী ১৬তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার শেষ দিন শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেলা ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

ফার্নিচার ব্যবসায় আধিপত্য বাড়ছে ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর।

প্রতি বছর ফার্নিচার ব্যবসার আকার ১০ শতাংশ হারে বাড়লেও ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা বেড়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি। যদিও এখনো ফার্নিচার বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশের দখল রয়েছে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। তবে আগামি পাঁচ বছর পরে বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশই চলে আসবে বড় কোম্পানিগুলোর দখলে।

এবারের মেলায় আখতার, হাতিল, পারটেক্স, নাভানা, ব্রাদার্সসহ দেশের প্রতিষ্ঠিত ৮-১০টি ফার্নিচার কোম্পানি বাসা-বাড়ির জন্য খাট, চেয়ার, টেবিলসহ তৈরি করছে অফিসিয়াল ফার্নিচারও। ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে নকশা ও কাঠামোয় থাকছে নতুনত্ব। একারণে এসব ফার্নিচারের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে।

ফার্নিচার মেলায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফার্নিচার।  ছবি: বাংলানিউজ

আবুল কালাম নামে মেলায় আসা এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় ফার্নিচার কোম্পানিগুলো রেগুলার প্রাইসের চেয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে। এখানে একটি ডাইনিং টেবিল ও ছয়টি চেয়ারের অর্ডার দিয়েছি। আগে দাম ছিল ৫৫ হাজার টাকা। এখানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪২ হাজার টাকায়। ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে যেসব ফার্নিচার প‍াওয়া যায় সেগুলোর মান এবং ফিনিশিং এত ভালো না। তাই ব্র্যান্ড কোম্পানির কাছ থেকেই কিনে থাকি।

অন্যদিকে ভোক্তাদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জেলা শহরগুলোতেও শোরুম খুলছে এসব ব্যান্ডের কোম্পানিগুলো।

পারটেক্স ফার্নিচারের ডেপুটি ম্যানেজার (সেলস) মোস্তফা আমান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে ফার্নিচার শিল্পের একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হচ্ছি। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। একারণে আমরা জেলা শহরগুলোতেও শোরুম করছি। সেখানেও ভালো সাড়া পাচ্ছি।

পারটেক্স প্রতিবছর পাঁচ হাজার ইউনিট ফার্নিচার তৈরি করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্রেতাদের সুবিধার্থে ক্রেডিট কার্ডে ১২ মাস পর্যন্ত সুদমুক্ত কিস্তিতে ক্রয় করার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

আখতার ফার্নিচারের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার আহসাব হাবির রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা সব সময় শৈল্পিক, নান্দনিক ও আভিজাতিক ফার্নিচার তৈরি করছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ফার্নিচারের ঐতিহ্যে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ফ্ল্যাটের আকারের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছোট ছোট ফার্নিচার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ফার্নিচার ব্যবসার। ব্যবসার প্রবৃদ্ধির কারণেই কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগও বাড়ছে এ শিল্পে। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ক্রেতাদের কারণে।

ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ব্র্যান্ড এবং ননব্র্যান্ড মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠান আসবাবপত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। গড়ে উঠেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বাজার। প্রতিবছর এ বাজার ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

এবছর ফার্নিচার মেলায় অংশ নিয়েছে ৩১টি প্রতিষ্ঠান। মেলা উপলক্ষে কোম্পানিগুলো সাধারণ মূল্য থেকে ৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। প্রতিদিনই আনছে নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য। সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাচ্ছে এ মেলায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এসই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।