ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কেজি ১২০, মিশর-তুরস্কের পেঁয়াজ আসতে লাগবে ২০ দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
কেজি ১২০, মিশর-তুরস্কের পেঁয়াজ আসতে লাগবে ২০ দিন ফাইল ফটো

ঢাকা: কোরবানির ঈদের পর থেকে বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি হোক বা আমদানির, সব পেঁয়াজই দামে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। নগরীর কাঁচাবাজারগুলোদে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে।

দামের ঝাঁজ কমতে পারে তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর। এ উদ্যোগ শুরুও হয়েছে।

তবে, এসব বিদেশি পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছাতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। ফলে, এর আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১ অক্টোরব) মিরপুর-২ নম্বর, ৬০ ফিট ছাপরা মসজিদ ও বিএনপি কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ ১২০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিউমার্কেট কাঁচাবাজারেও মানভেদে ১২০, ১১০ ও ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। কবে কমবে কেউ জানে না। ভারত পেঁয়াজ না দিলে দাম আরও বাড়বে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে খুচরা দেশি পেঁয়াজ ১১০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা পূর্বাভাস সেল সূত্র জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। পরে, গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর থেকেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে।

তবে মিশর, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব পেঁয়াজ দেশে আসতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। এছাড়া, নভেম্বর মাসের মধ্যভাগে দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। তখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে। তবে, আপাতত ১৫ দিনের আগে পেঁয়াজের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য পরামর্শক (দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা পূর্বাভাস সেল) গোলাম খোরশেদ বাংলানিউজকে বলেন, কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম কমে, এটা বলা মুশকিল। তবে মিশর, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমবে। তবে, এর জন্য আরও ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সূত্র জানায়, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি স্থানে চলছে এ কার্যক্রম। এছাড়া, চট্টগ্রামসহ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি চলবে। তবে, শুক্রবার বন্ধ থাকবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি চলবে। নানা কারণে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।