ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৯০ ভাগ শিল্প-ব্যবসা এসএমই খাতের আওতাভুক্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
৯০ ভাগ শিল্প-ব্যবসা এসএমই খাতের আওতাভুক্ত

ঢাকা: বর্তমানে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা এসএমই খাতের আওতাভুক্ত বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশন পরিচালিত ওমেন্স এন্টারপ্রেনার ইন এসএমই বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ ২০১৭ শীর্ষক গবেষণা লব্ধ তথ্য ও পর্যবেক্ষণ অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা এসএমই খাতের আওতাভুক্ত।

খাতটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এসএমই খাত থেকে। এসএমই খাতে মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে।  

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটি যাতে চলমান থাকে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এটা শুধু সভা-সেমিনারে থাকলে চলবে না। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে সম্মিলিতভাবে নিজেদের বদলে দিতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশের ১৫১০ জন নারী উদ্যোক্তার ওপর এ গবেষণা পরিচালনা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ব্যবসায় শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। সামাজিকভাবে পিছিয়ে যাওয়া নারীরা ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে শিল্পায়ন ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারেও নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে গেছেন।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২০০৯ সালে গ্রাজুয়েট পর্যায়ে শিক্ষিত ২০ শতাংশ নারী ব্যবসায় সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০১৭ সালে তা বেড়ে ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে ৪২ শতাংশ নারীকে পারিবারিকভাবে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হতে নিরুৎসাহিত করা হতো। ২০১৭ সালে তা ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ নারীকে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করতে হয়েছে। ২০১৭ সালে এটি ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ নারী কর দিতেন, যা ২০১৭ সালে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা ব্যবসার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতেন, যা ২০১৭ সালে বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ নারী এখন আর পরিবার থেকে কোনো বাধা পায় না। ৭ শতাংশ নারী এখনো পরিবার থেকে বাধা পায়। ৫ শতাংশ নারী পরিবার থেকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন তাদের স্বামী ব্যবসা পছন্দ করেন না। ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা হতে শ্বশুর বাড়ি থেকেও বাধা পান।  

এতে আরও বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা ট্রেড লাইসেন্স পেতে কোনো বিড়ম্বনায় পড়েননি। ৭ শতাংশ নারীকে ট্রেড লাইসেন্স পেতে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। ৩ শতাংশ নারী জানিয়েছেন ট্রেড লাইসেন্স পেতে লম্বা সময় লাগে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএস’র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯ 
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।